এই মুহূর্তে আপনি বেঁচে আছেন; আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন; প্রতিদিনই কিছু খাবার খাচ্ছেন ও জল পান করছেন। আমরা চলাফেরা করি অথবা কাজ করি এবং ঘুমাই। হয়তো আমরা আরামে জীবন কাটাই অথবা কষ্টে থাকি। সূর্য উঠে আবার অস্ত যায়; কোথাও একটি শিশু জন্ম নিচ্ছে, কিন্তু আবার কোথাও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে।
পুরো জীবনটাই একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা
কিন্তু
মৃত্যুর পর আমি কোথায় যাই?
যদিও আমি একজন নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান:
অথবা একজন মুসলমান , অথবা একজন হিন্দু ,
অথবা একজন বৌদ্ধ, অথবা একজন ইহুদী,
অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ
অথবা কোন ধর্মে বিশ্বাস করি না —---
তথাপি আমাদের এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর ঠিক করা দরকার, কারণ পৃথিবীতে অল্পদিন বেঁচে থাকার পর, মানুষকে তার চিরকালের বাসস্থানে চলে যেতে হবে।
কিন্তু কোথায়?
কারণ: যেখানে আপনাকে কবর দেওয়া হবে, সেখানে আপনার আত্মার কবর হবে না, অথবা আপনার শরীর যদি কোন বন্য পশু অথবা পাখি খেয়ে ফেলে, এটি আপনার আত্মা খেতে পারে না, যদি আপনার শরীর শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলা হয়, আপনার আত্মা পুড়ে ছাই হবে না, অথবা আপনি যদি সাগরের অতল গভীরে ডুবে জীবন হারান, আপনার আত্মা ডুবে যাবে না।
আপনার আত্মা কখনও মরবে না
স্বর্গের ও পৃথিবীর ঈশ্বর বলেন,
“সমস্ত প্রাণ আমার”
আপনি যখন এই জগতে বেঁচে ছিলেন, তখন ভালো বা মন্দ যা-ই করেছেন, আপনার করা কাজের হিসাব মৃত্যুর পর ‘আপনাকে’ অর্থাৎ আপনার আত্মাকে দিতে হবে।
আমরা হয়ত বিশ্বস্ত ভাবে উপাসনা করি।
আমরা হয়ত আমাদের করা খারাপ কাজের জন্য দুঃখিত হই।
আমরা হয়ত চুরি করা জিনিস ফিরিয়ে দিই।
নিশ্চয়ই এসব খুব দরকারী—
কিন্তু
আমরা আমাদের নিজ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি না। স্বর্গের ঈশ্বর, সারা পৃথিবীর ধার্মিক বিচারক আপনার পাপ ও জীবন জানেন, তাঁর কাছে কিছুই লুকানো নয়। আপনি, আপনার পাপ নিয়ে কখনও আগামী জগতের ( স্বর্গের ) পরম সুখ ও গৌরবের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কিন্তু
এই একই স্বর্গের ঈশ্বর হলেন ভালবাসার ঈশ্বর। আপনার জীবন ও আত্মা উদ্ধারের জন্য তিনি এক পথ প্রস্তুত করেছেন। আপনি যদি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন ও আপনার পাপ স্বীকার করেন, আপনাকে অনন্ত বিচারে ও নরকের আগুনে অভিশপ্ত করা হবে না। ঈশ্বর তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আপনাকে ক্ষমা করবেন।
এই যীশু আপনার মন্দ কাজের জন্য শাস্তি পেয়েছেন এবং যদি আপনি এই যীশু ও একমাত্র প্রভুর কাছে উপাসনা ও প্রার্থনা করেন, তিনি আপনার জীবনে শান্তি দেবেন এবং মৃত্যুর পরে এক গৌরবময় জীবন দেবেন। কিন্তু এই যীশু -জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র, অবশ্যই প্রথমে আপনার ব্যক্তিগত উদ্ধারকর্তা হবেন। শুধুমাত্র তখনই আপনি আপনার আত্মার জন্য মহা আনন্দ ও সান্ত্বনার এক অনন্ত বাসস্থান নিশ্চিত করতে পারেন। কিন্তু হায়! যারা এই জীবনকালে যীশুর উদ্ধারকারী ভালবাসাকে গ্রহণ করে নাই, তাদের জন্য কঠিন বিচার ও অনন্ত আগুন অপেক্ষা করছে। মৃত্যুর পর কিছুতেই মন ফিরান যাবে না ও রক্ষা পাওয়া যাবে না। “ পরে তিনি তাঁর বাঁ দিকের লোকদের বললেন, ‘ওহে অভিশপ্ত লোকেরা আমার কাছ থেকে তোমরা দূর হও। শয়তান ও তার দূতদের জন্য যে চিরকালের আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে তার মধ্যে যাও।” ( মথি ২৫:৪১ পদ ) । “ ঐ অপদার্থ দাসকে তোমরা বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও; সেখানে লোকে কান্নাকাটি করবে আর যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।” ( মথি ২৫:৩০ পদ )
পবিত্র বাইবেলে ঈশ্বর পৃথিবীতে আগত শেষ বিচারের বিষয়ে অনেকবার সতর্ক করেছেন। এই পবিত্র বাক্যগুলি তে এই বিষয়ে ভবিষ্যতবাণী বলা হয়েছে যে, স্মরনীয় বিচারের দিনের পূর্বে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাবে ও বাইবেলে লিখিত চিহ্ন দেখা যাবে।
যীশু আসার আগে যুদ্ধ হবে ও যুদ্ধের কলরব, দুর্দশা ও জাতিদের মধ্যে জটিলতা দেখা দেবে - তা হল, এক জাতি অন্য জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করবে - এবং মনোভাব ও মতের বিভেদ মেটাবার কোন পথ খুঁজে পাবে না।
বিভিন্ন জায়গায় ভুমিকম্প হবে ও মহামারী দেখা দেবে। সম্প্রতি বছরগুলিতে এইগুলি প্রচুর পরিমানে ঘটছে। বাইবেলে আগেই বলা হয়েছে, মন্দ লোকেরা আরও মন্দ হতে থাকবে। এই সময়ে লোকেরা সাবধান হবে না কিন্তু ঈশ্বরকে ভালবাসার চেয়ে বরং আমোদ - প্রমোদ করতেই বেশি ভালবাসবে। বাইবেলে পড়ুন, ( মথি ২৪:৬, ৭ ও ১২ পদ )।
আসুন, মনে রাখি যে আমাদের ন্যায় ও মহান বিচারক ঈশ্বর আমাদের বর্তমান সম্পদ অথবা দারিদ্রতা, সুনাম অথবা অসম্মান, রং, কুল, জাতি অথবা ধর্মমতের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। একদিন আমরা আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা ও প্রভুর দ্বারা আমাদের করা কাজের কারণে বিচারিত হওয়ার জন্য, তাঁর সামনে দাঁড়াব। বাইবেলে পড়ুন, ( মথি ২৫ : ৩২, ৩৩ পদ )।
সীমাহীন অনন্তকালে কোন ঘড়ি থাকবে না, থাকবে না কোন বার্ষিক দিনপঞ্জিকা ও শতাব্দীর হিসাব।
পাপী ও অবিশ্বাসীদের যন্ত্রণার ধোঁয়া চিরকাল উপরে উঠতে থাকবে - একই সময়ে উদ্ধার প্রাপ্তরা স্বর্গে সীমাহীন আনন্দ করবে, গান গাইবে, পরম সুখে ও আরামে থাকবে।
আপনি এখনই পছন্দ করুন! তা না হলে হয়ত বেশি দেরি হয়ে যাবে। “ ……….দেখ, এখনই উপযুক্ত সময় আজই উদ্ধার পাবার দিন ।” বাইবেলে পড়ুন, ( ২ করিন্থীয়, ৬:২ খ পদ এবং মথি ১১:২৮ - ৩০ পদ )।