আপনি কি জানেন যে , পাপের জন্য ঈশ্বর আপনাকে দোষী করেছেন এবং মৃত্যুর দ্বারা শাস্তি দিয়েছেন ? যদি পাপী মানুষ এই অনন্ত মৃত্যু থেকে উদ্ধার পেয়ে অনন্ত কালের জন্য বাঁচতে চায় তাহলে ঈশ্বরের দয়া পেতে হবে । আমাদের পাওনা শাস্তি ঠেকিয়ে রাখার জন্যই এই দয়া । কিন্তু শর্ত ছাড়া ঈশ্বর মানুষকে দয়া করেন না , যদিও উদ্ধার বিনা পয়সার, যা কেনা যায় না বা উপার্জনও করা যায় না । যে শর্তে ঈশ্বর দয়া করেন তা হল অনুতাপ ।
‘ ঈশ্বর , তুমি কোথায় ?’ ‘ আমি তোমাকে চাই ।’ ‘তোমাকে আমার দরকার ।’ ‘ কি করে আমি তোমাকে পেতে পারি ?’ এই কি আপনার দুঃখ ভরা হৃদয়ের কান্না ? আপনার সমস্ত মন দিয়ে আপনি কি ঈশ্বরকে খুঁজতে এবং তাঁর কাছে পৌঁছাতে চান ? কিন্তু মনে হচ্ছে, কোন না কোন ভাবে তিনি আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন আর আপনি তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না ।
ভালবাসা …………. ! সকল ভাষায় এটি একটি চমৎকার শব্দ । এটি আমাদের মনের মধ্যে কিছু কিছু কথা বলে থাকে, যা হল ঃ স্নেহ, মায়া, উষ্ণতা, দয়া, সমঝোতা, নিরাপত্তা এবং মা’র কথা ? কিন্তু আপনার নিজের কথা চিন্তা করুন ; - এই সুন্দর শব্দটি আপনার কাছে সত্যি কোন অর্থ প্রকাশ করে কি ? আপনি কি ভালবাসা পেতে চান ? আপনি কি ভালবাসতে চান ?
বিশুদ্ধতা ভালবাসা সুখী সংসার আস্থা কামলালসা লজ্জা ভয় ভাঙা সংসার একাকীত্ব মনের বিশুদ্ধতা, নীতিবোধ এবং দেহ অসাধারণ ব্যক্তিগত সম্পদ বলা হয় । শুধু এটাই যদিও ধার্মিকতা নয়, কিন্তু তা খ্রীষ্টিয়ান জীবনের নৈতিক গুণাবলী এবং মানব জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ । আজকের দিনে আদর্শ মূল্যবোধ ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, আর পুরুষ ও নারীকে এমন আচার - আচরণ গ্রহণ করতে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা বাইবেলে পরিষ্কারভাবে পাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এরকম আচার - আচরণ এখন অনেক লোকের গ্রহণযোগ্য জীবনের পথ । ঈশ্বর যা পাপ বলে উল্লেখ করেছেন, তাদের কাছে তা পাপ বলে গণ্য হয় । এর পরিণতি কি ?
পবিত্র বাইবেলের উদ্দেশ্য শয়তান ও তার কাজকর্মের দিকে দৃষ্টি রাখা নয় । তা সত্বেও, বাইবেলে আমরা এমন অনেক কিছু পাই যা তার বৈশিষ্ট্য ও কাজের বিষয় প্রকাশ করেছে। শয়তান এক সময় ছিল একজন স্বর্গদূত, কিন্তু সে তার সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের বিপক্ষে গেল এবং তাঁর ( ঈশ্বরের ) মত হতে চাইল । অন্ধকার রাজ্যে শয়তানের কৃত কাজগুলো নতুন নয়। যুগের পর যুগ ধরে ঈশ্বরের রাজ্যের বিপক্ষতা করাই তার কাজ এবং সেগুলোই হচ্ছে তার চেষ্টার নমুনা । ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে যা কিছু সম্পাদন করে থাকেন, শয়তান ঠিক তার বিকল্প কাজটাই করে থাকে।
আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেখানে সবাই কমবেশী অযুহাত দেখায় । যে কোন বিষয়ে হোক, আপনার মন একটা অযুহাত দেখানোর চিন্তা করে থাকে, কারণ আপনি হয়তো সব ক্ষেত্রে সত্যের মোকাবেলা করতে চান না । মনে মনে ভেবে থাকেন , কোন একটা অযুহাত দেখিয়ে পার পাওয়া যায় কি - না, উদ্ধার পাওয়া যায় কি - না ! কিন্তু আপনি কি মনে করেন ঈশ্বরের সাক্ষাতে অযুহাত দেখিয়ে আপনি পার পাবেন বা উদ্ধার পাবেন ? উদ্ধার পাওয়ার বিষয়ে কোন অযুহাত দেখানো যাবে কি ? আপনার কোন অজুহাত কখনোই আপনাকে উদ্ধার করতে পারে না । আদম ও হবা পাপ করেছিল, বিভিন্ন অযুহাতও দেখিয়েছিল এবং একজন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিল । তারা এই ধারণা করেছিল, ঈশ্বর তাদের পাপের দিকে দৃষ্টি দেবেন না , কারণ কেন পাপ করেছে তার বেশ কিছু কারণ তারা দেখাতে পেরেছে । তারপরও আমরা বাইবেলে পড়ি, তবুও ঈশ্বর তাদের শাস্তি দিয়েছেন । যতই কৌশলপূর্ণ হোক্ না কেন, যতই নিজেকে নির্দোষ দেখানোর চেষ্টা করেন না কেন, ঈশ্বর কোন অযুহাতই মেনে নেবেন না ( আদিপুস্তক ৩ : ৯ - ১৯ ; গালাতীয় ৬ : ৭ - ৮ পদ ) ।
“শান্তি, কোথায় শান্তি ? আমাদের দেশের জন্য , আমাদের সংসারের জন্য এবং সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের হৃদয় এবং মনের জন্য ?” মানসিক যন্ত্রণার কান্নাধ্বনি যুগের পর যুগ ধরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে । এটা কি আপনার হৃদয়েরও কান্নাধ্বনি নয় ? মানুষ এখন ক্লান্ত আর উদ্বিগ্ন । বলার অপেক্ষা রাখে না, তাদের একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে পরিচালনা ও পরামর্শ, নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তার । আমাদের প্রয়োজন ও চাওয়া হচ্ছে মনের শান্তি । মনের শান্তি - এ এক অমূল্য সম্পদ । দ্বন্দ্ব ও হতাশা, অজস্র বিক্ষোভে অস্থিরতায় ভরা এই পৃথিবীতে এই সম্পদ পাওয়া কি সত্যিই সম্ভব ?
জেনারেল নেপোলিয়নের স্মরণে ফ্রান্সের বড় শহর প্যারিসে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মিত হয় । আঠারশো শতাব্দীর শেষ ভাগ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন ইউরোপের ত্রাস । বাস্তবিকই যুদ্ধে তার বিস্ময়কর বিজয় এত ব্যাপকতর হয়েছিল যে, শুধুমাত্র ইংল্যান্ড বাদে সারা ইউরোপই তার হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছিল । তা - ই নয় , নেপোলিয়নের উদ্দেশ্য এবং ইচ্ছা ছিল সারা পৃথিবী জয় করা ।
একজন ব্যক্তি কি উদ্ধার পেয়েছে, এই প্রশ্নটির উত্তর বার বার জিজ্ঞাসা করা হয় । বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর আছে কি না ? একজন ব্যক্তি কি জানে, তার পাপ ক্ষমা হয়েছে, কি হয় নাই ? অথবা, পাপ ক্ষমা পাবার জন্য কি তাকে বিচার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ? সেই পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান ফেলে রাখা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ ।
যীশু আমাদের বলেন যে স্বর্গের দরজাগুলি আমাদের জন্য বন্ধ যদি না আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। এই জন্য আমরা প্রশ্ন করিঃ বন্ধু, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? গির্জার সদস্য, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে আপনি হারিয়ে পেছেন। কারণ যীশু বলেন, “…নতুন করে জন্ম না হলে কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না।“ (যোহন ৩:৩খ পদ)
আপনি কি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন, অথবা হৃদয়ের গভীরে এক ধরনের অপরাধবোধ এবং ভয় অনুভব করেন? আপনি কি কখনও আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে চিন্তা করেন? অনেকেই এ ধরনের অনুভূতির উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করে থাকে। কোন উৎসব অথবা বিনোদন কিছু সময়ের জন্য এই অনুভূতিগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। সম্ভবতঃ তারপরেই এইগুলি আগের চেয়ে আরো কঠিনভাবে আপনার জীবনে ফিরে আসে। সৃষ্টির শুরুতেই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ করে সৃষ্টি করেছিলেন। মানুষের কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু শয়তান এসে মানুষকে বিপথে চালিয়ে ঈশ্বরের অবাধ্য করল। মানুষ পাপের মধ্যে পড়ল। সে আর নির্দোষ থাকতে পারল না। সেই সময় থেকেই সব মানুষ পাপী।
আপনি কি জানেন, বাইবেল শিক্ষা দেয় যে সব মানুষ পাপে জন্মেছে এবং মানুষের স্বভাব পাপ করা ? এভাবে সব মানুষই একটা হারানো পরিস্থিতি ও অবস্থার মধ্যে আছে । “ আমরা সবাই ভেড়ার মত করে বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছি ।” ( যিশাইয় ৫৩:৬ ক পদ ) । কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই মন্দ চিন্তা, সমস্ত রকম ব্যভিচার, চুরি, খুন, লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লম্পটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে ।” ( মার্ক ৭:২১, ২২ পদ ) । বাইবেলে আরও পড়ুন, ( গীত সংহিতা ৫১:৫ পদ ) ।
“তুমি অন্তরের মধ্যে সত্য দেখতে চাও , “ ( গীত সংহিতা ৫১ : ৬ ক পদ ) জীবনের সকল স্তরেই সত্যবাদিতা নৈতিক সদগুনের সাথে সম্পর্কযুক্ত । সততা সত্যিকারেরই হৃদয় ঘঠিত ব্যাপার । সততা যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের মূলনীতি । আমাদের হৃদয়ের চিন্তা এবং ইচ্ছা, সবই ঈশ্বর জানেন । তিনি সত্যকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসাবে বিবেচনা করেন, কারন তিনি হচ্ছেন সত্যের ঈশ্বর । ( দ্বিতীয় বিবরণ ৩২ : ৪ পদ ) । ঈশ্বর আমাদের পরিপূর্ণ সততাকে অবশ্যই আশীর্বাদ করে থাকেন ।
আপনি কি ক্ষমা পেয়েছেন ? এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের উপরে নির্ভর করছে আপনার অনন্তকালীন ভবিষ্যত । পবিত্র বাইবেল আমাদের এই শিক্ষা দেয়,”নির্দোষ কেউ নেই, একজনও নেই” ( রোমীয় ৩:১০ পদ ) । একই অধ্যায়ের ২৩ পদ এই কথা বলে, “কারণ সবাই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা পাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।” যদি আমরা আমাদের পাপের ফল থেকে উদ্ধার পেতে চাই, তাহলে অবশ্যই ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমা পেতে হবে। কোন একদিন বিচারের দিনে প্রভুর সাথে আমাদের দেখা হবে। “ খ্রীষ্টের বিচার -আসনের সামনে আমাদের সকলের সবকিছু প্রকাশ করা হবে, যেন আমরা প্রত্যেকে এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি, তা ভাল হোক বা মন্দ হোক, সেই হিসেবে তার পাওনা পাই” ( ২ করিন্থীয় ৫:১০ পদ )।
প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আকাংখা থাকে সে যেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকতে পারে । ছোট বাচ্চা শিশুদের একলা ফেলে রাখলে তারা ভয় পায় । তারা অন্ধকার বা অজানা কোন কিছুকে ভয় পেয়ে যায় । ছেলে - মেয়েরা অবশ্যই পিতা - মাতার ভালবাসার বাহুডোরে থাকতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত মনে করে । এখানেই তারা সুরক্ষিত থাকার নিশ্চয়তা লাভ করে । বয়সে পরিপক্ক হতে হতে আমাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষিত থাকার আকাংখা কিন্তু আমাদের ছেড়ে যায় না । এটা আমাদের জন্মগত আকাংখা, যা আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিয়েছেন । পক্ষান্তরে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের নির্ভিক দেখায়; কিন্তু তাদের হৃদয়ে তারা অজানা কোন কিছুকে ভয় পায়, কষ্টকে , দুর্ঘটনাকে, অথবা অসুস্থতাকে ভয় পায় । তাদের মনের মধ্যে এক রকম অস্বস্থি অনুভব করে, যখন ভাবে মৃত্যুর পরে আমার কি হতে পারে ।
আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন ।
দেশের কোন নেতার সাথে অথবা কোন বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে আপনি কি পছন্দ করেন ? আবার, তাদের কাউকে আপনার বাসায় পেতে কেমন লাগবে ? আমরা অনেকেই এমন সুযোগ পাই না । কিন্তু আপনি কি জানেন, এদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একজনের সাথে আপনি কথা বলতে পারেন ? আবার, এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আপনি আপনার বাসায়ও পেতে পারেন !
সময়কাল শুরু হবার আগে থেকেই ঈশ্বর, তার একজাত পুত্র যীশু এবং পবিত্র আত্মার ছিলেন। তাঁরা পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছুরই সৃষ্টি করেছেন। তার ভালবাসায়, ঈশ্বর তার নিজ প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করে তাকে এক অপূর্ব বাগান রেখেছিলেন। মানুষ ঈশ্বরের নির্দেশগুলির অবাধ্য হয়েছিল। এই অবাধ্যতাই ছিল পাপ এবং ঈশ্বর থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। তিনি তাদের পাপ মোছনের জন্য নিখুঁত কম বয়সী পশু বলি দিতে বলেছিলেন। এই সমস্ত বলিদান তাদের পাপের দেনা শোধ করেনি কিন্তু এক চূড়ান্ত বলিদানের ইঙ্গিত দিয়েছিল যা ঈশ্বরীঈ জোগাবেন। একদিন ঈশ্বর তাঁর পুত্র যিশুকে সকল মানুষের পাপের মোচনের জন্য চূড়ান্ত বলিদান স্বরূপ এ জগতে পামরিয়ম এবং স্বর্গদূত
উদ্ধার পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে ? এখন আমি কিভাবে মনের শান্তি অর্জন করতে পারি এবং আগামীতে স্বর্গে যাবার নিশ্চয়তা পেতে পারি ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে হলে ঈশ্বরের কাছে আমাদের আসতে হবে । এখন , ঈশ্বর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে এবং কেমন করে উদ্ধার পাওয়া যায়, তা এখানে বলছি । ঈশ্বর হচ্ছেন মহা বিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা - তিনি একজন স্নেহশীল পিতা, যিনি তাঁর সন্তানদের ভালবাসেন এবং তাদের কাছ থেকে ভক্তি ও বাধ্যতা আশা করেন । তারা অবাধ্য হলে তিনি শাসন করেন, আবার অনুতাপ করে ফিরে আসলে তিনি ক্ষমাও করে দেন ।
পবিত্র বাইবেলে আমরা পড়ি, “ তারপর আমি দেখলাম, ছোট - বড় সব মৃত লোকেরা সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । এর পর কতগুলো বই খোলা হল । তার পরে আর একটা বই খোলা হল । ওটা ছিল জীবন - বই । এই মৃত লোকদের কাজ সম্বন্ধে সেই বইগুলোতে যেমন লেখা হয়েছিল সেই অনুসারেই তাদের বিচার হল” ( প্রকাশিত বাক্য ২০ : ১২ পদ ) । এই অংশটি প্রমাণ করে যে ঈশ্বর সব কিছু তথ্য - প্রমাণ লিখে রাখেন ।
একটি পরিবার কেমন হবে তার ছবি বাইবেলে নিখুঁত করে আঁকা হয়েছে, যার কাঠামো বেশ শক্ত এবং পরিবেশ মনোরম । একটা পরিবার মানে হচ্ছে, তৃপ্তিকর ঐক্যে ভরা অথবা উত্তেজনা ও বিবাদ পূর্ণ একটি স্থান । আপনার সংসার কি সুখী, মজবুত এবং জীবনের ঝড়- তুফানের মধ্যে বেঁচে থাকতে সমর্থ? পরিবার হচ্ছে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংগ । আমাদের আত্মিক উন্নয়নের জন্য, আবেগপূর্ণ সুখ এবং দৈহিক পরিপূর্ণতার জন্য তা ঈশ্বর কর্তৃক অভিষিক্ত । ঈশ্বরের পরিকল্পনা সব সময় একটি পরিবারে রয়েছে বলে পরিবারের সদস্য - সদস্যা সকলে একে অন্যের জন্য সুখ বয়ে আনে এবং সবাই মিলে ঐক্যে বসবাস করে ।
খ্রীষ্টিয়ান ও তার স্বর্গীয় আহ্বানের উপযুক্ত কাপড় - চোপড় পরার জন্য আলাদা শালীনতা পূর্ণ পোশাক রয়েছে । পৌল ফিলিপীয়দের কাছে লিখেছেন , “ সবচেয়ে বড় কথা হল , তোমরা এমনভাবে জীবন কাটাও ( জীবনের আচরণ ) যা খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবরের উপযুক্ত “ ( ফিলিপীয় ১ : ২৭ পদ ) । একজন মানুষের পোশাক পরার ধরন একটি জানালার মতন, যা তার হৃদয়ের ভেতরটা দেখতে সাহায্য করে । এটা তার নিজের সম্পর্কে ধারণা করতে সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে এবং এও প্রকাশ করে , কে তার জীবনের প্রভু । ইতিহাস স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয় যে , খ্রীষ্টের সত্যিকার শিষ্যরা তাদের ভদ্র পোশাক পরার জন্য সর্বদা পরিচিত।
সকল প্রকার গল্প বা ঘটনার মধ্যে খ্রীষ্টের জন্মের ঘটনাটি খ্রীষ্টিয়ানদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি রয়েছে । সকল যুগের সেরা সবচেয়ে মহৎ আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে এটা, যার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা । পাপ করে মানুষ ঈশ্বরের সহভাগিতা থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলেছে । আদম ও হবা এদোন বাগানে ঈশ্বরের অবাধ্য হয়ে পাপ করার পর ঈশ্বর নিজেই একজন মুক্তিদাতা দেবার প্রতিজ্ঞা তাদের কাছে করেছিলেন ( আদি পুস্তক ৩ : ১৫ পদ ) । তারা যে সম্পর্ক হারিয়েছিল, তা আবার ফিরিয়ে আনতে এটাই ছিল ঈশ্বরের পরিকল্পনা ।
দি চার্চ অফ গড বা ঈশ্বরের মন্ডলী কোন মানুষের সৃষ্ট সংস্থা নয়, কিন্তু প্রভুরই সৃষ্ট । যীশু বলেছেন, “ আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার মন্ডলী গড়ে তুলব” ( মথি ১৬ : ১৮ পদ ) । যীশু জানতেন যে ঈশ্বরের মহান পরিকল্পনায় মন্ডলী অতি আবশ্যকীয় এবং এই ঘোষণাও দিয়েছিলেন যে মন্ডলী অনন্তকাল ধরে থাকবে । চার্চ বা মন্ডলী হচ্ছে, বিশ্বাসীদের জন্য আত্মিক বাসগৃহ , যখন তারা এই পৃথিবীতে থাকে; আর স্বর্গ হচ্ছে অনন্ত কালের জন্য উদ্ধার প্রাপ্তদের বাসগৃহ ।
তুমি কি একজন সুখী মানুষ? ভয় ও পাপবোধ তোমার সুখকে পরাভূত করেছে? তোমার ভয় ও পাপবোধ থেকে মুক্ত হতে ইচ্ছা হয় না? হয়তো ভাবছো, কিভাবে আমি আবার সুখী হতে পারি? আমার কাছে তোমার জন্য সুখবর রয়েছে! এমন একজন আছেন যিনি তোমাকে সাহায্য করতে পারেন। তিনি তোমার পাপ ক্ষমা করতে পারেন এবং তোমাকে স্থায়ী সুখ দিতে পারেন। তাঁর নাম যীশু। তাঁর কথা তোমাকে বলতে চাই। তাঁর পিতা, ঈশ্বর, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সবকিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাকে এবং আমাকেও সৃষ্টি করেছেন।
তুমি কি জান যে এমন একজন আছেন যিনি তোমার বিষয় সব কিছুই জানেন? তিনি ঈশ্বর যিনি জগৎ ও সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন। তুমি এ যাবৎ যা কিছু করেছো তা সব ঈশ্বরের পুত্র, জীশুও জানেন। তিনি অতীত, বর্তমান, এবং ভবিষ্যতও জানেন। তিনি তোমাকে ভালবাসেন এবং পাপ থেকে তোমাকে রক্ষা করার জন্য এ পৃথিবীতে এসেছিলেন। তোমার জীবনে সুখ আনার জন্য তাঁর একটি পরিকল্পনা রয়েছে। একদিন যীশু তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে জাচ্ছিলেন। তিনি শমরিয়ার একটি গ্রামে উপস্থিত হলেন। যখন তাঁর বন্ধুরা খাবার কিনতে গেলেন তিনি বিশ্রামের জন্য একটি কূয়ার পাশে বসলেন।
John N. Reynolds আমার জানা মতে সবচেয়ে বেশি কৌতুহল সৃষ্টি করেছিল আমি যখন জর্জ লেনকসের পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনাটা জানলাম । জর্জ লেনকস জেফারসন জেলার একজন কুখ্যাত ঘোড়া চোর ছিল । সে দ্বিতীয় বারের মত জেল খাটছিল । একই অপরাধে, অর্থাৎ ঘোড়া চুরির জন্য এর আগে আমেরিকার কানসাস প্রদেশের সেজিক জেলা তাকে প্রথম বার জেলে দেয় ।
পান - সিগারেট ব্যবহার করা কি ভুল ? বাইবেল কি বলে , এটা পাপ ? যারা পান - তামাক জাতীয় বিভিন্ন নেশাতে অভ্যস্ত , তাদের কাছে কিছু বললেই এ ধরনের নানা প্রশ্ন তারা করে থাকে । না , বাইবেল নির্দিষ্টভাবে পান - তামাক জাতীয় নেশা সম্পর্কে কিছু বলে নাই । কিন্তু এমন কিছু নির্দেশ দিয়েছে যাতে মানব জাতির , পুরুষ ও স্ত্রী লোকের জীবন সেই নীতিমালায় পরিচালিত হয় ।
ভয় কি ঈশ্বর ভয় ভবিষ্যতের ভয় ব্যর্থতার ভয় কষ্ট পাবার ভয় মৃত্যুর ভয় ভয় হচ্ছে এমন এক গোপন শত্রু, যা সব বয়স ও জীবিকার মানুষের মধ্যে হানা দেয় । এই ভয় খুব সূক্ষ্ম এবং ধ্বংসাত্মক, চিন্তাকে বিষময় করে, অন্তরের শান্তিকে কেড়ে নেয় এবং আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয় । ভয় আমাদেরকে বিচলিত, অস্থির, আতঙ্কিত, বিশৃঙ্খল, নিরাশ এবং মনকে দুর্বল করে তোলে । সত্যই খুব দুঃখজনক ও অপছন্দনীয় এই অনুভূতি !
আমরা যখন কোন স্থানে বা কাজের জায়গায় কোন বন্ধু - বান্ধবের সাথে দেখা করে বিদায় নিই , তখন প্রায়ই এই কথাটি শুনে থাকি । কিন্তু আমরা কি আশা করি , কি করলে ঐ দিনটি সত্যিই ভালো হবে ? কোন সমস্যা এবং দ্বন্দ্ব ছাড়া দিনটি ভালো যাবে এবং সকলেই আমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করবে ?
প্রত্যেকেই কোন না কোন কিছুর উপাসনা করে থাকে । কোন লোক বিভিন্ন বস্তুর উপাসনা করে, কেউ একজন মানুষের, কেউ প্রতিমার এবং কেউ আবার নিজেরই উপাসনা করে থাকে । বিভিন্নভাবে তারা তাদের ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভক্তি প্রকাশ করে । যেহেতু এই ধরনের প্রচুর লোক আছে যারা এইসব বিভিন্ন ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভক্তি প্রকাশ করে, তবুও তাদের হৃদয়ে এক ধরনের আকাঙ্ক্ষা ও আর্তনাদ থেকেই যায় । এইসব লোকেরা শুধুমাত্র সাময়িকভাবে তাদের প্রাণের আর্তনাদের উপশম খুঁজে পায় এবং সামনের দিনটি মোকাবেলা করতে সাহস কম পায় । অতীতের মত ভবিষ্যতেও তাদের দুশ্চিন্তা সব সময় ঠিক একই রকম থেকে যায় । তারা যে দেব - দেবতার সেবা করে , তারা তাদের জীবনের শূন্যতা পূরণ করতে অসমর্থ।
মদ মাদক দ্রব্য লালসা অপরাধ জেলখানা হতাশা মৃত্যু “ পাপ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু “ ( রোমীয় ৬ : ২৩ পদ ) আসুন আমরা বাস্তবের সামনে দাঁড়াই । মদ, মাদকদ্রব্য এবং অনৈতিকতার মত ভয়ংকর রাক্ষস গুলো ঈশ্বরের মহৎ এবং সুন্দর সৃষ্টির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়েছে এবং সৃষ্টিকে ধ্বংস করেছে । ঠিক যেমন বিরাটাকার অজগর ; যা ছোট বড় সকলকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয় এবং গিলে ফেলে ।
সত্ব বন্ধন স্বাধীনতা বিষন্নতা আনন্দ ভয় শান্তি ঘৃণা ভালবাসা অপবিত্রতা পবিত্রতা আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যাদের হৃদয়ে রয়েছে অস্থিরতা । কেন তাদের হৃদয়ে এত অস্থিরতা, অবশ্য তার অনেক কারণও রয়েছে । তবে যে কারণেই হোক না কেন, আমরা এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এ সবই ঈশ্বর জানেন এবং যারা বিশ্বাসে তাঁর কাছে আসবে, তিনি তাদের প্রত্যেকটি অস্থির হৃদয়ে শান্তি দিতে অপেক্ষা করে আছেন । ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং তিনি আপনার হৃদয়ে বাস করতে চান ।
এই পৃথিবী একটা অস্থির জায়গা। আমরা দেখি, মানুষ ইতস্তত ছুটাছুটি করে চলেছে তাদের জীবনকে খুশী করার জন্য ধন-সম্পদ আয় করতেও অনেকে নিজেদের একান্তভাবে ব্যস্ত রাখে। অন্য অনেকে জগতের সব রকম ভোগ-বিলাসে নিজেদের সময় কাটায়। আবার কেউ কেউ অলস অবসর কাটাতে পছন্দ করে এবং কম খাটুনি করে বেশী অর্থ উপার্জন করতে চেষ্টা করে ও খেলাধুলায় বেশী সময় ব্যয় করে। তবুও তাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। খেলার সরঞ্জাম, আনন্দ-স্ফূর্তি ও সম্পত্তির প্রতি তাদের আকর্ষণ অবশেষে শেষ হয়ে যায়।কারন প্রতিটা নতুন ভোগ-বিলাস ও তার চাহিদা কিছুদিন থাকে, কিন্তু আবার হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। তবু মনে হয় জীবনে আরো কিছু দরকার।
এই মুহূর্তে আপনি বেঁচে আছেন; আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন; প্রতিদিনই কিছু খাবার খাচ্ছেন ও জল পান করছেন। আমরা চলাফেরা করি অথবা কাজ করি এবং ঘুমাই। হয়তো আমরা আরামে জীবন কাটাই অথবা কষ্টে থাকি। সূর্য উঠে আবার অস্ত যায়; কোথাও একটি শিশু জন্ম নিচ্ছে, কিন্তু আবার কোথাও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। পুরো জীবনটাই একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা কিন্তু মৃত্যুর পর আমি কোথায় যাই? যদিও আমি একজন নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান: অথবা একজন মুসলমান , অথবা একজন হিন্দু , অথবা একজন বৌদ্ধ, অথবা একজন ইহুদী, অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ অথবা কোন ধর্মে বিশ্বাস করি না ——
আমার একজন বন্ধু আছেন। আমার সব বন্ধুদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সেরা বন্ধু। তিনি এত দয়ালু এবং বিশ্বাস্ত যে আমি চাই যেন তুমিও তাঁকে জানতে পার। আরও চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, তিনিও তোমার বন্ধু হতে চান। এখন আমি তাঁর কথা তোমাকে বলছি। এই ঘটনাটি আমরা বাইবেলে দেখতে পাই। বাইবেল হচ্ছে খুবই খাঁটি। এটা ঈশ্বরের বাক্য। ঈশ্বর হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই জগৎ এবং তাঁর মধ্যেকার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি হচ্ছেন স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু বাঁ মালিক। তিনিই সবকিছুর জীবন দেন এবং জীবন-বায়ু দেন।
“পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন । কিন্তু শিষ্যেরা সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন । যীশু তা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে শিষ্যদের বললেন, ছেলে মেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এদের মত লোকদেরই । আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলে মেয়েদের মত করে ঈশ্বরের শাসন মেনে না নিলে কেউ কোন মতেই ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারবে না । তারপর যীশু সেই ছেলেমেয়েদের কোলে নিলেন এবং তাদের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন” ( মার্ক ১০ : ১৩ - ১৬ পদ ) ।
আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন ।
যোহন সুসমাচার ১০ : ১ - ১৮ আপনি কি কখনও এরকম ডাক শুনেছেন, কেউ আপনার নাম ধরে ডাকছে অথচ আপনি জানেন না কোত্থেকে এই ডাক আসছে ? অথবা, হয়তো চারিদিকের হৈ চৈ হট্টগোলের মধ্যে আপনি এই ডাক ভালভাবে শুনতে পারছেন না । শুনুন, একটা ডাক শোনা যাচ্ছে । শুনছেন, আপনাকেই ডাকছে ! আপনি কে ? আপনার নাম কি? আপনি কোত্থেকে এসেছেন ? আপনি কোথায় থাকেন ? আপনি কোথায় যাচ্ছেন ?
এক সময় এই জগতে কিছুই ছিল না । না ছিল মাছ ! না ছিল আকাশে তারা ! না ছিল সাগর ও সুন্দর ফুল ! সব কিছু শূন্য ও অন্ধকার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর ছিলেন । ঈশ্বরের ছিল এক চমৎকার পরিকল্পনা । তিনি একটি মনোরম জগতের চিন্তা করেছিলেন, আর চিন্তার সাথে সাথেই তিনি করেছিলেন তার সৃষ্টি । যখন কিছুই ছিল না, তখন তিনি সবকিছুই সৃষ্টি করলেন । ঈশ্বর কোন কিছু সৃষ্টির আগে শুধু বললেন, ‘ এটা হোক’ এবং তা - ই হল ।
‘তিনি ( ঈশ্বর ) আমাকে বললেন, “আমোষ, তুমি কি দেখতে পাচ্ছ ?” উত্তরে আমি বললাম, একটা ওলন দড়ি ।” তখন প্রভু বললেন, “ আমার লোক ইস্রায়েলর মধ্যে আমি একটা ওলন দড়ি ( বিচার চিহ্ন ) রাখছি ; আমি আর তাদের রেহাই দেব না ।” ( আমোষ ৭ : ৮ পদ ) । ওলন দড়ি হচ্ছে রাজমিস্ত্রীর কাজে ব্যবহৃত একটা মাপের জিনিস যা দিয়ে সে তার কাজের ভুল ধরতে পারে । সরলভাবে সে তার কাজ করলেও কিন্তু ভুলের হাত থেকে রেহাই পায় না । ঈশ্বরের বাক্য রূপ ওলনদড়ি বা বিচার - চিহ্ন দিয়েও তেমনি আমাদের জীবন ও বিশ্বাস সঠিক প্রমাণিত হওয়া দরকার ।
পবিত্র বাইবেল হচ্ছে এমন এক দামী বই যা প্রতিটি প্রাণের প্রয়োজন মেটায় । মানুষের দেহের পুষ্টির জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি বাইবেলের বাণীগুলি মানুষের আত্মার পুষ্টির যোগান দেয় । সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটি জানার জন্য ও সঠিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাইবেলেই যথার্থ কথা লেখা হয়েছে যা আসলে খাঁটি সোনার মতন ।