ভয় কি
ঈশ্বর ভয়
ভবিষ্যতের ভয়
ব্যর্থতার ভয়
কষ্ট পাবার ভয়
মৃত্যুর ভয়
ভয় থেকে মুক্তি
ভয় হচ্ছে এমন এক গোপন শত্রু, যা সব বয়স ও জীবিকার মানুষের মধ্যে হানা দেয় । এই ভয় খুব সূক্ষ্ম এবং ধ্বংসাত্মক, চিন্তাকে বিষময় করে, অন্তরের শান্তিকে কেড়ে নেয় এবং আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয় । ভয় আমাদেরকে বিচলিত, অস্থির, আতঙ্কিত, বিশৃঙ্খল, নিরাশ এবং মনকে দুর্বল করে তোলে । সত্যই খুব দুঃখজনক ও অপছন্দনীয় এই অনুভূতি !
আমরা সকলে বিরোধ ও পরিবর্তন , ব্যর্থতা ও নিরাশাকে ভয় পাই । কেউ কেউ আবার অসুস্থতা ও দুঃখ - কষ্ট কে ভয় পায় । অন্যরা ভয় পায় যে তাদের প্রিয় মানুষের উপর আঘাত আসবে । অনেকে লোকের কথা ও মতামতকে ভয় পায় । আবার অনেকে অন্ধকার কে বা একা একা থাকতে ভয় পায় । কেউ আবার মরতে এবং মৃত্যুর পরের অজানা বিষয়ের সামনে যেতে ভয় পায় । এমন অনেক লোক আছে যাদের উদ্ধার নিশ্চিত হয় নাই , অথবা ঈশ্বর তাদের পাপ ক্ষমা করেন নাই ভেবে ভয় পায় । তারা শুধু মৃত্যুকে ভয় পায় তা নয়, বেঁচে থাকতেও ভয় পায় । ভয় আমাদের মনে এত ধীরে ও নীরবে প্রবেশ করে যে , আমরা বুঝতে পারি না আমরা এর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার হচ্ছি । এক গ্লাস জলে এক ফোঁটা কালি পড়লে জল যেমন বিবর্ণ হয়ে যায়, তেমনি ছোট্ট একটু ভয় আমাদেরও বিবর্ণ করে । আবার যখন এই ছোট ভয় থামানো না হয়, তখন তা বড় হয়ে আমাদের চিন্তা - ভাবনা গুলো ভিন্ন মুখে চালাতে শুরু করে । প্রেরিত পৌল এ বিষয়ে চিন্তা করতে পরামর্শ দিয়েছেন , “শেষে বলি , ভাইয়েরা , যা সত্যি, যা উপযুক্ত, যা খাঁটি, যা সুন্দর, যা সম্মান পাবার যোগ্য , মোটকথা যা ভালো এবং প্রশংসার যোগ্য, সেই দিকে তোমরা মন দাও ।” ( ফিলিপীয় ৪ : ৮ পদ ) ।
জীবন হচ্ছে জটিল, পৃথিবী হচ্ছে মন্দ ; তাই বলে বাইরের সমস্যা মনের শান্তিকে নষ্ট করবে এটা তো ঠিক নয় । আমাদের মনের ভেতরের ভয়কে খুব শক্ত ভাবে মোকাবেলা করতে হবে । যখন আমাদের কোন গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ না হয় , তখনই ভয় বাসা বাঁধে । আমাদের আত্মা ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, যা ঈশ্বরকে পেতে চায় । আর যখনই আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরে আসি, তখনই আমরা আতঙ্ক, ভয় ও মানসিক সমস্যায় পড়ি ।
ভয় কি?
ভয় হল সেই আবেগ, যখন কেউ মনে করে, তার জীবন ঈশ্বরের চোখে অপ্রীতিকর । আদম ও হবার জন্য সেই একটি দিন যথেষ্ট কষ্টকর হয়েছিল, যখন শয়তানের পরামর্শে তারা ঈশ্বরের অবাধ্য হয়ে বাগানের মাঝখানের গাছের ফল খেয়েছিল । তারা অবাধ্য হয়ে পাপ করেছিল এবং পরে ঈশ্বরের উপস্থিতি থেকে লুকিয়ে ছিল । ঈশ্বর তাদের ডাকলেন এবং আদমকে বললেন, “ বাগানের মধ্যে আমি তোমার গলার আওয়াজ শুনেছি ।” ( আদিপুস্তক ৩ : ১০ ক পদ ) ।
শয়তান শুধু অন্ধকারের মধ্যে কাজ করে । সে আলোতে কাজ করতে পারে না কারণ, “ ঈশ্বর আলো, তাঁর মধ্যে অন্ধকার বলে কিছু নেই ।” ( ১ যোহন ১ : ৫ খ পদ ) । শয়তান আমাদের দুর্বলতা জানে এবং সেই সুযোগে আমাদের মনে চিন্তা - ভাবনা ও ভয় ভাব সৃষ্টি করে । সে সত্যকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করে এবং মিথ্যা দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করে তোলে । যদি আমরা এই মিথ্যা গুলোকে হৃদয়ের অন্ধকারে ঢেকে রাখি তাহলে শয়তান হতাশা ও ভয়ের মন্দ কাজগুলো চালিয়ে যাবে । কিন্তু যদি তাকে আমরা আলোতে প্রকাশ করি , তবেই তাকে পরাজিত করা যাবে ও তার শক্তিকে তাড়ানো যাবে ।
শয়তান আমাদের ভয়-ভীতিকে পূর্ণভাবে সুযোগ নিয়ে কাজে লাগায় । সুযোগ পেলেই সে ভয়-ভীতি বাড়িয়ে তোলে এবং বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখায় । এতে আমাদের জীবনের পথ ক্রমশঃ অন্ধকারময় ও ভারাক্রান্ত হতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা আমাদের জীবনে মুক্তির আশা হারিয়ে ফেলি । মনে রাখুন , ঈশ্বর সকল ভয়-ভীতির উপরে । ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি যে, তিনি তাঁর মহান ভালোবাসায় পরিকল্পনা করেছেন, যেন আমরা নরকের অনন্ত মৃত্যুর বিচার থেকে রক্ষা পাই । তিনি তাঁর এক জাত পুত্র যিশুকে আমাদের উদ্ধার কর্তা হিসেবে পাঠিয়েছেন । আমাদের পাপের জন্য কালভেরীর ক্রুশে যিশুর প্রাণ উৎসর্গ ঈশ্বরের বিচারকে সন্তুষ্ট করেছে । এই মুক্তির মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদেরকে ভয় থেকে মুক্ত হওয়ার একটি পথ প্রদান করেছেন, কারণ পাপের পরিণাম ভয় । যীশু পাপ ও এর সব প্রভাবকে জয় করেছেন ।
ছোট একটি ছেলের গল্প বলি । রাতের অন্ধকারে ছেলেটি একা একা হাঁটতে ভয় পেত । কিন্তু যখন তার বাবা তার পাশে হাত ধরে হাঁটতো , তার সব ভয় দূর হয়ে যেত । অন্ধকার তার মনে কোন ভয় সৃষ্টি করতে পারত না , কারণ সে তার বাবাকে ভালবাসে ও বিশ্বাস করে । সে জানে তার বাবা তাকে দেখাশোনা করে রাখবে । ভয় থেকে মুক্তি পাবার জন্য এটি একটি উপায় - যদি আমরা আমাদের স্বর্গীয় পিতাকে ভালোভাবে জানতে পারি । তাঁর সাথে চলতে চলতে তাঁর ইচ্ছা , তাঁর ভালোবাসা, তাঁর আদর - যত্ন সম্পর্কেও আমরা শিখতে পারব । যত বেশি আমরা তাঁর সম্পর্কে জানব, ততই আমাদের জীবন তাঁর উপরে নির্ভর করে চালাবো ; আর পরম বিশ্বাসে তাঁর হাতে হাত রেখে চলব । যে সব প্রশ্ন আমাদের বিরক্ত করে, যে সব দুঃখ কষ্ট আমাদের হতাশ করে ; অত্যন্ত নম্রভাবে সে সব তাঁর কাছে তুলে ধরতে পারবো । আমরা ভয় সহকারে ঈশ্বরের খোঁজ করব , আমাদের জীবনে তাঁর ইচ্ছাকে পূর্ণ করার জন্য নিজেকে তাঁর কাছে সম্পূর্ণ রূপে সমর্পণ করব এবং বিশ্বস্তভাবে, বাধ্যতা সহকারে তাঁর অনুসরণ করব । “ এই ভালোবাসার মধ্যে ভয় নেই বরং পরিপূর্ণ ভালবাসা ভয়কে দূর করে দেয় , কারণ ভয়ের সঙ্গে শাস্তির চিন্তা জড়ানো থাকে । যে ভয় করে সে ভালবাসায় পূর্ণতা লাভ করেনি ।” ( ১ যোহন ৪ : ১৮ পদ )
ঈশ্বর ভয়
একটি ভয় আছে যা ঈশ্বরকে খুশি করে । “সদা প্রভুর প্রতি ভক্তিপূর্ণ ভয় হল জ্ঞানের ভিত্তি ।” ( গীত সংহিতা ১১১ : ১০ ক পদ ) । এটা এক ধরনের ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা যা আমরা অনুভব করি । একদিকে আমরা ঈশ্বরের মহত্ব , তাঁর ধার্মিকতা , তাঁর ন্যায় বিচার, তাঁর ভালবাসা, তাঁর দয়া, তাঁর প্রজ্ঞা এবং তাঁর অনন্ত অস্তিত্বের অংশ বিশেষ দেখি । অন্যদিকে ঈশ্বর সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান , ও সর্বত্র বিরাজমান । আমরা এও বুঝতে পারি, আমাদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ তাঁর হাতে এবং তাঁরই সৃষ্টি হিসাবে আমরা তাঁর সামনে আছি । আমরা এমন ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করতে ভয় পাই । আমরা জানি যারা পাপে বাস করে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা তাদেরকে দোষী করে নরকের আগুনে শাস্তি দেয় । “ ঈশ্বরের সত্যকে জানবার পরে যদি আমরা ইচ্ছা করে পাপ করতে থাকি তবে পাপের জন্য আমাদের আর কোন উৎসর্গ নেই ; আছে কেবল বিচারের জন্য ভীষণ ভয় অপেক্ষা করে থাকা এবং ঈশ্বরের শত্রুদের ছাই করে ফেলবার মত জ্বলন্ত ক্রোধ । “ ( ইব্রীয় ১০ : ২৬ - ২৭ পদ ) । এই জ্ঞান পাপের ভয় আনে । যখন আমরা অনুতাপ , ক্ষমা এবং বাধ্যতার মধ্য দিয়ে , আমাদের ব্যক্তিগত বন্ধু হিসাবে ঈশ্বরকে জানি, তখন তাঁর তুলনাহীন পরিত্রান দানের জন্য আমাদের কর্তব্য ঈশ্বরীয় ভয়ে, ভালবাসায় ও কৃতজ্ঞতা প্রদানে তাঁর প্রতি অনুপ্রাণিত হওয়া । ঈশ্বর ভয় আমাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে না , কিন্তু এটি যেন তাঁর প্রতি আমাদের ভালবাসাকে গভীর করে তোলে । যখন আমরা এই ভয়কে পূর্ণরূপে পালন করি তখন অন্য সব ভয় দূরে চলে যায় । তারপরও কেন অনেকে ভয়ের মেঘকে হৃদয়ে বাস করতে, মনকে কষ্ট দিতে এবং জীবনের পথে ছায়া ফেলতে দেয় ? কিন্তু ঈশ্বরের পথ হল শান্তি ও বিশ্বাসের পথ ।
বাইবেলে প্রেরিত পিতরের একটি উদাহরণ আছে, যখন যীশু তাঁকে বললেন , গালিল সাগরের ঝড় ময় ঢেউয়ের উপর দিয়ে হাঁটতে, পিতর তখন নির্ভয়ে হাঁটছিল প্রভুর প্রতি দৃষ্টি রেখে এবং যখন সে দৃষ্টি সরিয়ে ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের দিকে তাকাল, তখনই সে ডুবতে আরম্ভ করল । পবিত্র বাইবেলে পড়ুন ( মথি ১৪ : ২৪ - ৩১ পদ ) । যখন আমরা ভয় থেকে মুক্ত হতে চাই, এবং ঈশ্বরে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি, তখন পবিত্র আত্মা শান্ত ও মৃদু স্বরে আমাদের সাথে কথা বলে । যখন আমরা ভয়ের পরিবর্তে তাঁর দিকে দৃষ্টি রাখি, তখন আমাদের চারদিকের ঝড় শান্ত হয়ে যায় । তারপর তিনি আমাদের বিব্রতকর প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে, সন্দেহের বদলে নিশ্চয়তা দিতে এবং আমাদের হাত তার হাতে নিয়ে সান্ত্বনার স্পর্শ দিতে পারেন । তাঁরই অনুগ্রহে আমরা ভয় থেকে মুক্তি পাই ।
ভবিষ্যতের ভয়
অজানা রহস্যময় ভবিষ্যত কিছু লোককে অশান্ত করে তোলে । তারা প্রতিদিন সকালে অজানা ভবিষ্যত নিয়ে ঘুম থেকে ওঠে , আর তখন তাদের মন কাল্পনিক ভয়ের অন্ধকার পথে ঘোরাফেরা করতে থাকে এবং ‘যদি এটা হয়’, ‘ যদি ওটা হয়,’ এমন সব খুঁতখুঁতে প্রশ্ন তাদের সামনে আসে । “কোন বিষয় নিয়ে উতলা হয়ো না, বরং তোমাদের সমস্ত চাওয়ার বিষয় ধন্যবাদের সঙ্গে প্রার্থনার দ্বারা ঈশ্বরকে জানাও” ( ফিলিপীয় ৪ : ৬ পদ ) । একটা দিন নির্ভয়ে চলার জন্য এটা একটা সহজ ধাপ । একবার চেষ্টা করে দেখুন !
অনেকে ভবিষ্যতের ভয় পায় , কারণ তাদের জীবনে দিক নির্দেশনার অভাব রয়েছে । তারা ভবিষ্যতে কোথায় যাবে, না জেনে শুধু অমঙ্গলের আশঙ্কা করে থাকে । ঈশ্বর জানেন সামনে কি আছে , এবং তাই যখন তারা ঈশ্বরকে তাদের জীবন পরিচালনা করতে দেন , তখন তাদের জীবন আর উদ্দেশ্যহীন জীবন থাকে না বরং একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে স্থির হয় ।
ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যারা তাঁর উপর নির্ভর করে, তিনি তাদের প্রতি বিশ্বস্ত হবেন , যদিও তারা অজানা ভবিষ্যতের সামনে পড়বে । আপনি কি তা বিশ্বাস করেন ? ঝড় যতই ভীষণ হোক, রাত যতই অন্ধকার হোক, অথবা পাহাড় যতই উঁচু হোক না কেন, তিনি এসবের মধ্য দিয়ে আপনাকে পার করে নিয়ে যাবেন ।
ব্যর্থতার ভয়
আমরা সবকিছুতেই সফল হতে চাই , কিন্তু ভয় পাই যে আমরা ব্যর্থ হব । সেই সাথে ব্যর্থ হবে আমাদের নিজেদের জীবন, আমাদের নিজেদের পরিবার । আমরা ভয় পাই যে , আমাদের নির্বাচন হয়ত ভুল এবং আমরা ভুল পরিকল্পনা নিয়ে ফেলব ।
ঈশ্বর যিহোশূয়কে আদেশ দিলেন , “আমি তোমাকে আদেশ দিয়েছি , কাজেই তুমি শক্তিশালী হও ও মনে সাহস আন । ভয় করো না কিংবা নিরাশ হয়ো না , কারণ তুমি যেখানেই যাও না কেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে থাকবেন ।” ( যিহোশূয় ১ : ৯ পদ ) । আমরা যদি আমাদের জীবন প্রভুর নির্দেশে পরিচালিত করি, তাহলে ব্যর্থতা থেকে আমরা শিখতে পারি এবং সাফল্যের সিড়িতে পা ফেলতে পারি ।
কষ্ট পাবার ভয়
দেহের কষ্ট, সমালোচনার আঘাত, নিঃসঙ্গতার কষ্ট এবং দুঃখ - বেদনাকে আমরা ভয় পাই । ঈশ্বর আমাদের সব দুঃখ - কষ্টের হাত থেকে রক্ষা করেন না , কিন্তু বহন করার জন্য অনুগ্রহ যোগান দেন । আমাদের সকল সমস্যার সময়েও তিনি শান্তি ও নিশ্চয়তা দেবার প্রতিজ্ঞা করেছেন । “ঈশ্বরই আমাদের আশ্রয়স্থান ও শক্তি ; বিপদের সময় সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত থাকেন । ………. তবুও আমরা ভয় করব না ।” ( গীতসংহিতা ৪৬ : ১ - ৩ পদ ) । যদি আমরা প্রভুকে ভালবাসি , তিনি আমাদের মঙ্গলের জন্য দুঃখ-কষ্ট ব্যবহার করবেন । দুঃখ-কষ্ট ঈশ্বরের উপস্থিতি জানতে এবং তাঁর শক্তি ধরে রাখতে আমাদের সুযোগ করে দেয় । এটি চরিত্রের উন্নতি এবং অন্তরে বোঝার শক্তিও দেয় । আমরা যদি দুঃখ কষ্টকে আমাদের জীবনের অংশ হিসাবে গ্রহণ করি তা আমাদের উপকার করতে পারে । আপনার জন্য কোনটা ঠিক ?
মৃত্যুর ভয়
মানুষের জীবনে মৃত্যুর ভয় একটি অতি সাধারণ বিষয় । কাউকে চির বিদায় দেওয়া একটি খুব বেদনাদায়ক কাজ । বহু পুরানো কালের একটি প্রশ্ন, “মানুষ মরে কি আবার জীবিত হবে ?” ( ইয়োব ১৪ : ১৪ ক পদ ) । মৃত্যুর ভয় থেকে আমাদের উদ্ধার করার জন্য যীশু এসেছিলেন । পবিত্র বাইবেলে পড়ুন ( ইব্রীয় ২ : ১৪ - ১৫ পদ ) । সেজন্যই তিনি মরলেন এবং জীবিতও হলেন । আবার একই কারণে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন , “আমি জীবিত আছি বলে তোমরা জীবিত থাকবে ।” ( যোহন ১৪ : ১৯ খ পদ ) । যীশু আমাদের সাথে থাকলে মৃত্যু কোন শেষ বিষয় নয় , কিন্তু নতুন জীবনের জন্য উজ্জ্বল প্রবেশ পথ ।
“তোমাদের মন যেন আর অস্থির না হয় । ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস কর, আমার উপরেও বিশ্বাস কর । আমার পিতার বাড়ীতে থাকবার অনেক জায়গা আছে । তা না থাকলে আমি তোমাদের বলতাম, কারণ আমি তোমাদের জন্য জায়গা ঠিক করতে যাচ্ছি” ( যোহন ১৪ : ১ - ২ পদ ) । যারা সেখানে যেতে প্রস্তুত - এই স্থান শুধু তাদের জন্যই ।
আপনি কি প্রস্তুত ? আপনি কি আপনার পাপে ভরা জীবনের জন্য অনুতপ্ত ? কারণ অনুতাপ আমাদের অতীত পাপের জন্য তীব্র অনুশোচনা এনে দেয় এবং পুরানো জীবন থেকে ফিরিয়ে আনে । আপনি কি কখনও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে আপনার দেখাশুনার ভার, আপনার উদ্বেগ ও ভয়-ভীতি পূর্ণ জীবন তাঁকে দিয়েছেন ? যীশু বলেছেন, “ তোমরা যারা ক্লান্ত ও বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছ, তোমরা সবাই আমার কাছে এস; আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব ।” ( মথি ১১ : ২৮ পদ ) ।
কি অপূর্ব আমন্ত্রণ ! কি চমৎকার প্রতিজ্ঞা ! যীশুর কাছে আসুন ! বিশ্বাসের সাথে , প্রার্থনার সাথে, আশা নিয়ে আসুন - দেখবেন, আপনি মনে শান্তি পাবেন ।
আপনি যদি আসেন , তাহলে অন্তরের গভীরে আনন্দ ও বিশ্রামপূর্ণ জীবন পেতে পারেন । ঈশ্বর আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন যেন যীশু খ্রীষ্টকে আপনি বিশ্বাস করেন এবং মুক্তি পান । আর ভয় থেকেও মুক্তি লাভ করেন । এখনই আসুন !