বিশুদ্ধতা ভালবাসা সুখী সংসার আস্থা
কামলালসা লজ্জা ভয় ভাঙা সংসার একাকীত্ব
মনের বিশুদ্ধতা, নীতিবোধ এবং দেহ অসাধারণ ব্যক্তিগত সম্পদ বলা হয় । শুধু এটাই যদিও ধার্মিকতা নয়, কিন্তু তা খ্রীষ্টিয়ান জীবনের নৈতিক গুণাবলী এবং মানব জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ । আজকের দিনে আদর্শ মূল্যবোধ ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, আর পুরুষ ও নারীকে এমন আচার - আচরণ গ্রহণ করতে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা বাইবেলে পরিষ্কারভাবে পাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এরকম আচার - আচরণ এখন অনেক লোকের গ্রহণযোগ্য জীবনের পথ । ঈশ্বর যা পাপ বলে উল্লেখ করেছেন, তাদের কাছে তা পাপ বলে গণ্য হয় । এর পরিণতি কি ?
আজকের দিনে টেলিভিশন, সিনেমা এবং নানারকম সাহিত্য ও পত্র - পত্রিকাগুলি হিংস্রতা , যৌনতা এবং অন্যান্য অনৈতিক পাপের অভ্যাসে পূর্ণ । এইসব মন্দ প্রভাব পরিবারের জন্য আনন্দ - স্ফূর্তি হিসাবে চলে আসছে । পুরুষ, নারী এবং ছেলে মেয়েদের মনও কামলালসাপূর্ণ চিন্তা ও ইচ্ছায় ভরে গেছে । আজকাল এই ধরনের মন্দ পরিবেশ কিছু নামধারী খ্রীষ্টিয়ান পরিবারেও দেখা যায় ।
ঈশ্বরের বাক্য আমাদের এই কথা বলে যে, “ দুষ্ট লোকেরা ও ভন্ডেরা দিন দিন আরও খারাপ হবে । তারা অন্যদের ভুল পথে নিয়ে যাবে আর নিজেরাও ভুল পথে চালিত হবে” ( ২ তীমথিয় ৩ : ১৩ পদ ) । “এই কথা মনে রেখো যে, শেষ কালে ভীষণ সময় উপস্থিত হবে । মানুষ কেবল নিজেকেই ভালবাসবে, টাকার লোভী হবে, গর্ব করবে, সবাইকে তুচ্ছ করবে, সকলের দুর্নাম করবে, আর মা - বাবার অবাধ্য হবে । তারা অকৃতজ্ঞ ও ভক্তিহীন হবে, তাদের মধ্যে স্নেহ - ভালবাসা থাকবে না, আর তারা ঝগড়া করে আপোস করবে না । তারা পরের নিন্দা করবে, নিজেকে দমন করতে পারবে না, নিষ্ঠুর হবে, আর যা ভাল তা ঘৃণা করবে । তারা বিশ্বাসঘাতক, হঠকারী ও অহংকারে পূর্ণ হবে । ঈশ্বরকে ভাল না বেসে তারা জাগতিক সুখকে ভালবাসবে” ২ তীমথিয় ৩ : ১ - ৪ পদ ) ।
“অন্তর সব কিছুর চেয়ে ঠগ, তাকে কোন রকমে ভাল করা যায় না । কেউ মানুষের অন্তর বুঝতে পারে না” ( যিরমিয় ১৭ : ৯ পদ ) । যীশু তাঁর বাক্যের মধ্য দিয়ে তাঁর শিষ্যদের যা কিছু বলেছেন, তা বুঝে আমরা আমাদের জীবনে ব্যবহার করতে পারি । “অন্তর থেকেই মন্দ চিন্তা, খুন, সব রকম ব্যভিচার, চুরি, মিথ্যা সাক্ষ্য ও নিন্দা বের হয়ে আসে “ ( মথি ১৫ : ১৯ পদ ) । “কারণ সে এমন লোক ( পুরুষ বা নারী ) ….. সে মনে - মুখে এক নয়” ( হিতোপদেশ ২৩ : ৭ পদ ) । পবিত্র শাস্ত্রের মধ্য দিয়ে যীশু আবারও বলেছেন, “ যে কেউ কোন স্ত্রী লোকের দিকে কামনার চোখে তাকায় সে তখনই মনে মনে তার সঙ্গে ব্যভিচার করল” ( মথি ৫ : ২৮ পদ ) ।
পুরুষ ও নারী তাদের জন্য সুখ ভোগের জীবন খোঁজে এবং তাদের কামনার চাহিদা মেটানোর জন্য সব রকম উপায়ে চেষ্টা করে । তারা তাদের জীবনে আজকে আনন্দ উপভোগ করে , কিন্তু আগামীকাল কি হবে তা নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন হয় না । তারা একেবারেই চিন্তা করে না যে বিচার দিনে তাদের সব কাজের হিসাব দিতে হবে , যখন সকলকেই ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াতে হবে । আজকের দিনে কিছু কিছু আনন্দ উপভোগের বিষয় হচ্ছে মদ, ড্রাগস্ এবং যৌনতা । পুরুষ ও নারী একসাথে পার্টিতে যায় এবং শুধুমাত্র তাদের চিত্ত বিনোদন ও সুখ উপভোগের জন্য নাচানাচি করে । তাদের প্রতিটা আসক্তি কম অথবা বেশি অসংযত আচরণের মধ্য দিয়ে সক্রিয় হয় । তারা প্রায়শই মদ ও ড্রাগসে আসক্ত হয় , যা কিনা তাদের সাধারণ বোধ - বুদ্ধি লোপ করে দেয় । এই সব কিছুই শয়তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । “যে লোক আঙ্গুর রস খেয়ে মাতাল হয় সে ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে, আর যে মদ খায় সে তুমুল ঝগড়া - বিবাদ করে ; এগুলো খেয়ে যে মাতাল হয় সে জ্ঞানী নয়” ( হিতোপদেশ ২০ : ১ পদ ) । “চোর কেবল চুরি, খুন ও নষ্ট করবার উদ্দেশ্য নিয়েই আসে “ ( যোহন ১০ : ১০ পদ ) । এইসব ইচ্ছা বা আসক্তির কারণে সংসার ভেঙে যায় এবং নির্দোষ ছেলে মেয়েরা বাবা অথবা মা ছাড়া একা হয়ে পড়ে । এর ফলে অনেক সময় এমন ঘৃণার সৃষ্টি হয় যে খুনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয় । “..... কিন্তু অবিশ্বস্ত লোকেরা শেষ হয়ে যাবে” ( হিতোপদেশ ১৩ : ১৫ পদ ) । গালাতীয় ৫ : ১৯ - ২১ পদে আমরা দেখতে পাই যে, পাপ স্বভাবের কাজগুলি হচ্ছে ব্যভিচার, অশুচিতা, ঘৃণা, খুন , লম্পটতা, প্রতিমা পূজা, মাতলামি , আর এই রকম আরও অনেক কিছু । যারা এই রকম কাজ করে, ঈশ্বরের রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না ।
অনেক দেশের আচার ব্যবস্থায় ছেলে বা মেয়ে বন্ধু গ্রহণযোগ্য এবং তারা অল্প বয়স থেকেই একে অন্যের সাথে মেলামেশা করতে পারে । বাবা-মায়েরা প্রায়ই তা সমর্থন করে কারণ তারা মনে করে, এতে তাদের সন্তানেরা বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং জনপ্রিয় লোকদের মধ্যে একজন হতে পারবে । এইভাবে তরুণ - তরুণীরা খুব তাড়াতাড়ি একে অন্যের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে । যথেষ্ট সময় নিয়ে তারা দেখা - সাক্ষাৎ করে, খাওয়া - দাওয়া করে ; ক্রমশ যা তাদের একে অন্যকে আদর - সোহাগ করতে এবং তারপর যৌন মিলনের দিকে পরিচালিত করে । কারণ হিসাবে তারা মনে করে, - অন্যেরাও তো এরকম করছে । “মানুষের অন্তরের কামনাই মানুষকে পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায় এবং ফাঁদে ফেলে । তারপর কামনা পরিপূর্ণ হলে পর পাপের জন্ম হয়, আর পাপ পরিপূর্ণ হলে পর মৃত্যুর জন্ম হয়” ( যাকোব ১ : ১৪ - ১৫ পদ ) ।
অধিকাংশ সময় তরুণ - তরুণীরা এইরকম পাপ গুলির পরিণতি বিবেচনা করে না । তারা মনে করে, এ রকম পাপের শাস্তি তারা এড়িয়ে যেতে পারবে, কিন্তু মানুষের চেয়ে শয়তানের শক্তি বেশি । একজন তরুণ একজন তরুণীর সাথে ব্যভিচার করলে পর সন্তান জন্মের পবিত্রতা এতে নষ্ট হয়ে যায় । নৈতিক চেতনা বোধ বিকৃত হয় ও বিশুদ্ধতাও নষ্ট হয়ে যায় । সরলতা বোধও আর থাকে না, আর বিয়ের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা নির্দোষ অন্তরঙ্গতায় সন্দেহ সৃষ্টি হয় । অনেক সময় তরুণী মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে । এর ফলে লজ্জা, দোষ, বিভ্রান্তি এবং শিশুটিকে ভবিষ্যতে দেখাশোনা করার সম্ভাব্য দায়িত্ববোধও দেখা দেয় । প্রায়ই তরুনী মাকে গর্ভপাত করাতে হয় । একটি প্রাণ ধ্বংস হয়, যা কি না ঐ তরুনীর জীবনে আরও পাপ, আরও অপরাধবোধ চেপে বসে । আর নতুবা, তরুণ - তরুণী অপরিপক্ক বয়সে বাবা-মা হয়ে পড়ে । যৌবনের আনন্দ- স্ফূর্তির দিনগুলি শেষ হয়ে যায়, তরুণী মেয়েটির বন্ধু - বান্ধব তাকে ভুলে যায়, বাবা-মা ও পরিবারের সবাই অখুশী হন, যা শুধু মাত্র একটা পাপপূর্ণ আনন্দ উপভোগ করার জন্য । এটাই হচ্ছে পাপের ফল বা বেতন । “পাপ যা বেতন দেয় তা মৃত্যু” ( রোমীয় ৬ : ২৩ পদ ) ।
বিয়ে হচ্ছে সম্মানজনক এবং যারা ঈশ্বরের পরিকল্পনা মত বিয়ে করে, তাদের জন্য তা আশীর্বাদ বয়ে আনে । ঈশ্বরের উদ্দেশ্য যেন পুরুষ ও নারী বিয়ের মিলনের মধ্য দিয়ে সুখ ও আনন্দ লাভ করে । “প্রত্যেকে যেন বিয়ের ব্যাপারটা সম্মানের চোখে দেখে । স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের সম্বন্ধ পবিত্র রাখা উচিত” ( ইব্রীয় ১৩ : ৪ পদ ) । একজন পুরুষ একজন নারীকে ভালবাসতে পারে এবং বিয়ে করার পরিকল্পনা নিতে পারে, কিন্তু যথাযথ বিয়ে ছাড়া স্বামী - স্ত্রীর মতন একসাথে বসবাস করা ঈশ্বরের চোখে পাপ ।
ঈশ্বর সমকামীতার বিপক্ষেও কথা বলেছেন । মোশির মধ্যে দিয়ে তিনি বলেছেন, “ স্ত্রীলোকের সঙ্গে দেহে মিলিত হবার মত করে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের দেহে মিলিত হওয়া চলবে না । এটা একটা জঘন্য কাজ” ( লেবীয় পুস্তক ১৮ : ২২ পদ ) । যখন একজন যৌন কামনা দ্বারা তার চিন্তাকে প্রভুত্ব করতে দেয়, তখন সে কোন কোন সময় তার অসংযত কামলালসার সন্তুষ্টির জন্য নৈতিক ও সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা না করে অসৎ উপায় অবলম্বন করে । তখন সমকামীতা তাদের কাছে আর লজ্জাজনক এবং অনৈতিক বা গর্হিত আচরণ মনে হয় না । এখন তারা প্রকাশ্যে বের হয়ে এসেছে এবং সামাজিক স্বীকৃতিও চাচ্ছে । বংশগত মানবিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সমকামীতাকে প্রায়শই ক্ষমার চোখে দেখা হয়, তবু ব্যক্তিগত কাজে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য দায়বদ্ধতা থাকতে হবে । “যদি কেউ এই ধরনের কোন জঘন্য কাজ করে তবে তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে “ ( লেবীয় পুস্তক ১৮ : ২৯ পদ ) । এই পাপ সম্পর্কে রোমীয় ১ : ৩২ পদে লেখা হয়েছে, “ ঈশ্বরের এই বিচারের কথা তারা ভাল করেই জানে যে, এই রকম কাজ যারা করে তারা মৃত্যুর শাস্তির উপযুক্ত ।”
বেশ কিছু ভয়ংকর অসুখ শুধু অনৈতিক কাজ করার জন্য মানব জাতির মধ্যে বিস্তার লাভ করেছে । ভয়ংকরতম এইডস এবং অন্যান্য যৌন রোগ এখন মামুলি বিষয় । অনাবশ্যক কষ্ট ও মৃত্যু এই রোগগুলি থেকেই উদ্ভব হয় । যারা ঈশ্বরের আইন - কানুন মানে না , অবাধ্যতার কারণে তারা এইরকম ফল ভোগ করবে ।
“যাদের অন্তর খাঁটি তারা ধন্য, কারণ তারা ঈশ্বরকে দেখতে পাবে” ( মথি ৫ : ৮ পদ ) । কৌমার্য মানে হচ্ছে, যৌন বিষয়ে যে সম্পূর্ণ নির্দোষ, কখনও বিয়ের মিলনের বাইরে ব্যাভিচার করে নাই এবং অনৈতিক কোন অভ্যাসে নিজেকে কোন ভাবে জড়িত করে নাই । কৌমার্য ধরে রাখার বিষয়ে মোশিকে ঈশ্বর তাঁর লোকেদের জন্য আইন - কানুন দিয়েছিলেন । “ব্যভিচার কোরো না” ( যাত্রা পুস্তক ২০ : ১৪ পদ ) । যীশু বলেছেন, “ যে কেউ নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে আর একজনকে বিয়ে করে সে ব্যভিচার করে । স্বামী যাকে ছেড়ে দিয়েছে সেই রকম স্ত্রীকে যে বিয়ে করে সেও ব্যভিচার করে” ( লূক ১৬ : ১৮ পদ ) ।
ব্যভিচারজনিত পাপ একজন লোককে তার কাজে অস্থির চিত্ত করে তুলে এবং তার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত করে অথবা তার করনীয় কাজকে অবহেলা করায় । তার নিজ পরিবারও অবহেলিত হয়, ফলে সেই সংসার আর সুখের থাকে না । এই ধরনের পাপের দোষ মানসিক দুর্ভোগ সৃষ্টি করে । কিন্তু অন্যদিকে নির্দোষ জীবন - যাপনের পুরস্কার প্রচুর । একজন নীতিবান খাঁটি লোকের মনে থাকে শান্তি, ভয় থেকেও মুক্ত; আর অন্য দিকে একজন অনৈতিক ব্যক্তি ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না । “যারা অন্যায় করে তারা যে ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হবে না, তা কি তোমরা জান না ?” ( ১ করিন্থীয় ৬ : ৯ পদ ) ।
ঈশ্বরের আত্মা একজনকে তার ব্যক্তিগত পাপের জন্য তিরস্কার করেন এবং অনুতাপ করতেও সাহায্য করেন । একটি অনৈতিক জীবনও পরিবর্তিত হতে পারে এবং সরল ভাবে অনুতাপ করলে পাপেরও ক্ষমা হয় । তাই নিজেকে সৎ না ভেবে নিজের পাপ অনুভব করা এবং ঈশ্বরের চোখে এই পাপের গুরুত্ব কতখানি তা বুঝতে পারাই হচ্ছে প্রথম ধাপ । তাকে নম্রতায় ঈশ্বরের কাছে আসতে হবে, হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ প্রকাশ করেই পাপ স্বীকার করতে হবে, ক্ষমা পাবার জন্য মিনতি করতে হবে এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে অনুগ্রহ চেয়ে নিতে হবে ; তারপর সব পাপ ছেড়ে দিয়ে তাঁর সাথে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে । যীশু বলেছেন, “ তোমরা যারা ক্লান্ত ও ( পাপ রূপ) বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছ, তোমরা সবাই আমার কাছে এসো ; আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব” ( মথি ১১ : ২৮ পদ ) । “ এখন এসো আমরা বোঝাপড়া করি । যদিও তোমাদের সব পাপ টকটকে লাল হয়েছে তবুও তা বরফের মত সাদা হবে ; যদিও সেগুলো গাঢ় লাল রঙের হয়েছে তবুও তা ভেড়ার লোমের মত সাদা হবে “ ( যিশাইয় ১ : ১৮ পদ ) । “যাদের মন ভেঙে গেছে সদাপ্রভু তাদের কাছে থাকেন; যাদের অন্তর চুরমার হয়ে গেছে তিনি তাদের উদ্ধার করেন” ( গীতসংহিতা ৩৪ : ১৮ পদ ) । আসুন, আমরা আমাদের মন্দ পথ থেকে ফিরে আসি এবং সময় থাকতেই প্রভুকে ডাকি ।