খ্রিস্টান জীবন

আপনিই আপনার অযুহাতগুলি জানেন । যা কিছু ঈশ্বরের ইচ্ছা থেকে আপনাকে দূরে রাখছে, তা - তো আপনার মনের ভেতরেই আছে । আপনি কি চান এগুলো আপনার স্বর্গে যাবার পথ বন্ধ করে রাখুক ? যেদিন থেকে অযুহাত দেখানো শুরু করেছেন এবং মনের ভেতরে পাপ পুষে রেখেছেন ; এইসব কারণগুলো সেদিন থেকে আপনার স্বর্গে যাবার বিপক্ষে । আপনি স্বর্গে যেতে পারছেন না, কারণ আপনার চিন্তা, আপনার কাজ, আর যা কিছু বলেছেন , সবই আপনাকে স্বর্গে যাবার পথ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে ।

আপনি কি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন, অথবা হৃদয়ের গভীরে এক ধরনের অপরাধবোধ এবং ভয় অনুভব করেন? আপনি কি কখনও আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে চিন্তা করেন? অনেকেই এ ধরনের অনুভূতির উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করে থাকে। কোন উৎসব অথবা বিনোদন কিছু সময়ের জন্য এই অনুভূতিগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। সম্ভবতঃ তারপরেই এইগুলি আগের চেয়ে আরো কঠিনভাবে আপনার জীবনে ফিরে আসে। সৃষ্টির শুরুতেই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ করে সৃষ্টি করেছিলেন। মানুষের কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু শয়তান এসে মানুষকে বিপথে চালিয়ে ঈশ্বরের অবাধ্য করল। মানুষ পাপের মধ্যে পড়ল। সে আর নির্দোষ থাকতে পারল না। সেই সময় থেকেই সব মানুষ পাপী।

খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়া “ তোমরা জান, জীবন পথে চলবার জন্য তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া বাজে আদর্শ থেকে সোনা বা রূপার মতো ক্ষয় হয়ে যাওয়া কোন জিনিস দিয়ে তোমাদের মুক্ত করা হয়নি; তোমাদের মুক্ত করা হয়েছে নির্দোষ ও নিখুঁত মেষ-শিশু যীশু খ্রীষ্টের অমূল্য রক্ত দিয়ে” ( ১ পিতর ১:১৮-১৯ পদ )। মানুষের পাপের জন্য খ্রীষ্টের মৃত্যুবরণ ও রক্তপাতের কারণেই আমাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে ( ইব্রীয় ৯:২২ পদ )। ক্ষমাহীনতা মানে বন্দীত্ব শর্তহীন ক্ষমা ঈশ্বরের কাছে আসা

সবাই পাপ করেছে আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন । আপনার জন্য আশা যীশু আপনাকে শান্তি দেবেন আপনি এখনই যীশুর দান গ্রহণ করতে পারেন ছোট ছেলেটি তার শিক্ষককে বিশ্বাস করেছিল , টেবিল পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিল এবং তা - ই ঘড়িটি পেয়েছিল । একইভাবে আপনিও দান গ্রহণ করতে পারেন, যা যীশু আপনাকে দিতে চান । আপনি খ্রীষ্টের সাথে আনন্দে থাকতে পারেন আপনি যীশুর জন্য কাজ করতে পারেন

দেশের কোন নেতার সাথে অথবা কোন বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে আপনি কি পছন্দ করেন ? আবার, তাদের কাউকে আপনার বাসায় পেতে কেমন লাগবে ? আমরা অনেকেই এমন সুযোগ পাই না । কিন্তু আপনি কি জানেন, এদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একজনের সাথে আপনি কথা বলতে পারেন ? আবার, এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আপনি আপনার বাসায়ও পেতে পারেন ! আপনি হয়তো প্রার্থনা করতে চেষ্টা করেছেন - তখন আপনার কেমন মনে হয়েছে ? প্রার্থনার পরেও কি আপনার অনেক প্রশ্ন ছিল ? এই রকম করে ভাবাটা স্বাভাবিক, কারণ যীশুর শিষ্যরাও যীশুকে বলেছিলেন যেন তিনি তাদের প্রার্থনা করতে শিখান ।

দি চার্চ অফ গড বা ঈশ্বরের মন্ডলী কোন মানুষের সৃষ্ট সংস্থা নয়, কিন্তু প্রভুরই সৃষ্ট । যীশু বলেছেন, “ আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার মন্ডলী গড়ে তুলব” ( মথি ১৬ : ১৮ পদ ) । যীশু জানতেন যে ঈশ্বরের মহান পরিকল্পনায় মন্ডলী অতি আবশ্যকীয় এবং এই ঘোষণাও দিয়েছিলেন যে মন্ডলী অনন্তকাল ধরে থাকবে । চার্চ বা মন্ডলী হচ্ছে, বিশ্বাসীদের জন্য আত্মিক বাসগৃহ , যখন তারা এই পৃথিবীতে থাকে; আর স্বর্গ হচ্ছে অনন্ত কালের জন্য উদ্ধার প্রাপ্তদের বাসগৃহ । চার্চ বা মন্ডলী কি ? কিভাবে আমি ঈশ্বরের মন্ডলী চিনতে পারি ? চার্চ বা মন্ডলী কেন প্রয়োজন ? মন্ডলীর আশীর্বাদ

পবিত্র বাইবেল হচ্ছে এমন এক দামী বই যা প্রতিটি প্রাণের প্রয়োজন মেটায় । মানুষের দেহের পুষ্টির জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি বাইবেলের বাণীগুলি মানুষের আত্মার পুষ্টির যোগান দেয় । সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটি জানার জন্য ও সঠিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাইবেলেই যথার্থ কথা লেখা হয়েছে যা আসলে খাঁটি সোনার মতন । পবিত্র বাইবেলে যা আছে ঈশ্বরের কথা যীশুর জন্ম কাহিনী ……………………………. লূক ২অধ্যায় সকল সৃষ্টির বিবরণ ……………… আদি পুস্তক ১ অধ্যায় উদ্ধার গীত ………………………… গীত সংহিতা ১৮ অধ্যায় ঈশ্বরের মহত্ব ……………………..……. যিশাইয় ৪০ অধ্যায় ঈশ্বরের পবিত্রতা ……………….. গীত সংহিতা ৯৯ অধ্যায় কে ভাল রাখাল ………………………….. যোহন ১০ অধ্যায়