ঈশ্বর প্রথমে পৃথিবী , আকাশ , সূর্য , চাঁদ এবং তারাগুলো সৃষ্টি করলেন । অতঃপর তিনি সকল প্রাণী এবং সব ধরনের জীবন্ত জিনিস সৃষ্টি করলেন । তিনি মানুষকে তাঁর প্রতি মূর্তিতে , তাঁর মত করেই সৃষ্টি করলেন । “ ঈশ্বর তাঁর নিজের তৈরি সব কিছু দেখলেন । সেগুলো সত্যিই খুব চমৎকার হয়েছিল ।” ( আদি পুস্তক ১ : ৩১ পদ )।
ঈশ্বর কোনো ভুল করেন নাই যখন পুরুষকে সৃষ্টি করার সময় দাড়ি দিয়েছিলেন । আমরা ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট প্রাণী , তাঁর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে প্রতি উত্তর করে বলতে পারি না “ কেন আমাকে এই রকম তৈরি করলে ?” ( রোমীয় ৯ : ২০ পদ ) । নর এবং নারীর পার্থক্যকে আমাদের সম্মান দেখানো উচিত , ঠিক যেভাবে ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন ।
আমাদের উদ্ধার কর্তার বিষয়ে নবী যিশাইয় তার লেখা ৫০ অধ্যায়ের ৬ পদে বলেছেন , “ যারা আমাকে মেরেছে আমি তাদের কাছে আমার পিঠ পেতে দিয়েছি আর যারা আমার দাড়ি উপড়িয়েছে তাদের কাছে আমার গাল পেতে দিয়েছি । যখন আমাকে অপমান করা ও আমার উপর থুথু ফেলা হয়েছে তখন আমি আমার মুখ ঢেকে রাখি নি । “
ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি বাধ্যতা ও সম্মান দেখাতে দাড়ি রেখে থাকি , এবং খ্রীষ্টের প্রতি আমাদের ভালোবাসার কারণেই আমাদের উচিত তাঁর রেখে যাওয়া উদাহরণ অনুসরণ করা । যোহন ১৩ : ১৫ - ১৬ পদ দেখুন ।
দাড়ি কিভাবে রাখতে হবে তা জাগতিক ফ্যাশন বা রীতি দিয়ে নির্ধারণ করা উচিত নয় । একজন খ্রীষ্টীয়ানের চেহারা তার প্রভুর প্রতি কৃতির মতনই হতে হবে ।
“ এখানকার মন্দ জগতের চালচলনের মধ্যে তোমরা নিজেদের ডুবিয়ে দিও না , বরং ঈশ্বরকে তোমাদের মনকে নতুন করে গড়ে তুলতে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন হয়ে ওঠো , যেন তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা জানতে পার । ঈশ্বরের ইচ্ছা ভাল , সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং তাতে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন “ ( রোমীয় ১২ : ২ পদ ) ।