পরিত্রাণ
আপনি কি জানেন যে , পাপের জন্য ঈশ্বর আপনাকে দোষী করেছেন এবং মৃত্যুর দ্বারা শাস্তি দিয়েছেন ? যদি পাপী মানুষ এই অনন্ত মৃত্যু থেকে উদ্ধার পেয়ে অনন্ত কালের জন্য বাঁচতে চায় তাহলে ঈশ্বরের দয়া পেতে হবে । আমাদের পাওনা শাস্তি ঠেকিয়ে রাখার জন্যই এই দয়া । কিন্তু শর্ত ছাড়া ঈশ্বর মানুষকে দয়া করেন না , যদিও উদ্ধার বিনা পয়সার, যা কেনা যায় না বা উপার্জনও করা যায় না । যে শর্তে ঈশ্বর দয়া করেন তা হল অনুতাপ । সবাই পাপ করেছে পাপ আলাদা করে যীশু দরজা খোলেন অনুতাপ, আমাদের দায়িত্ব
‘ ঈশ্বর , তুমি কোথায় ?’ ‘ আমি তোমাকে চাই ।’ ‘তোমাকে আমার দরকার ।’ ‘ কি করে আমি তোমাকে পেতে পারি ?’ এই কি আপনার দুঃখ ভরা হৃদয়ের কান্না ? আপনার সমস্ত মন দিয়ে আপনি কি ঈশ্বরকে খুঁজতে এবং তাঁর কাছে পৌঁছাতে চান ? কিন্তু মনে হচ্ছে, কোন না কোন ভাবে তিনি আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন আর আপনি তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না ।
ভালবাসা …………. ! সকল ভাষায় এটি একটি চমৎকার শব্দ । এটি আমাদের মনের মধ্যে কিছু কিছু কথা বলে থাকে, যা হল ঃ স্নেহ, মায়া, উষ্ণতা, দয়া, সমঝোতা, নিরাপত্তা এবং মা’র কথা ? কিন্তু আপনার নিজের কথা চিন্তা করুন ; - এই সুন্দর শব্দটি আপনার কাছে সত্যি কোন অর্থ প্রকাশ করে কি ? আপনি কি ভালবাসা পেতে চান ? আপনি কি ভালবাসতে চান ? ভালবাসার ঠিক উল্টো শব্দগুলি হচ্ছেঃ ঘৃণা, অবিশ্বাস, স্বার্থপরতা এবং যুদ্ধ । আজকের পৃথিবীতে বিভিন্ন অবস্থার দিকে তাকালে এবং এখানকার অনেক পরিবারে যে সমস্যাগুলি রয়েছে , তা দেখে আমরা বুঝতে পারি যে ভালবাসার কি ভীষণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।
অন্ধকারের শক্তিগুলো
ঈশ্বরের বাক্যের আলোকে শয়তানের কৌশল বুঝতে পারা পবিত্র বাইবেলের উদ্দেশ্য শয়তান ও তার কাজকর্মের দিকে দৃষ্টি রাখা নয় । তা সত্বেও, বাইবেলে আমরা এমন অনেক কিছু পাই যা তার বৈশিষ্ট্য ও কাজের বিষয় প্রকাশ করেছে। শয়তান এক সময় ছিল একজন স্বর্গদূত, কিন্তু সে তার সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের বিপক্ষে গেল এবং তাঁর ( ঈশ্বরের ) মত হতে চাইল । অন্ধকার রাজ্যে শয়তানের কৃত কাজগুলো নতুন নয়। যুগের পর যুগ ধরে ঈশ্বরের রাজ্যের বিপক্ষতা করাই তার কাজ এবং সেগুলোই হচ্ছে তার চেষ্টার নমুনা । ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে যা কিছু সম্পাদন করে থাকেন, শয়তান ঠিক তার বিকল্প কাজটাই করে থাকে।
আমাদের প্রশ্ন , “প্রায় সারা পৃথিবী জয় করে শুধুমাত্র ওয়াটারলু যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নেপোলিয়নের কি লাভ হয়েছিল ? তার সৌভাগ্য, সুনাম ও গৌরব মুহুর্তেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল । তার সকল বিজয় , তার জয় করা সব দেশগুলোর বিনিময়েও তার জীবনের স্বাধীনতা কেনা সম্ভব ছিল না । এই শেষ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি তো সবই হারালেন ।
একজন ব্যক্তি কি উদ্ধার পেয়েছে, এই প্রশ্নটির উত্তর বার বার জিজ্ঞাসা করা হয় । বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর আছে কি না ? একজন ব্যক্তি কি জানে, তার পাপ ক্ষমা হয়েছে, কি হয় নাই ? অথবা, পাপ ক্ষমা পাবার জন্য কি তাকে বিচার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ? সেই পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান ফেলে রাখা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ । ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া এই ভালবাসা সাধারণ ভালবাসার ও পারিবারিক বন্ধনের চেয়ে অনেক অনেক উপরে । এই ভালবাসা তার শত্রুকেও ভালবাসতে এমন কি যারা তাকে ঘৃণা করে তাদের ও ভালবাসতে শেখায় ( মথি ৫ : ৪৪ পদ ) ।
যীশু আমাদের বলেন যে স্বর্গের দরজাগুলি আমাদের জন্য বন্ধ যদি না আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। এই জন্য আমরা প্রশ্ন করিঃ বন্ধু, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? গির্জার সদস্য, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে আপনি হারিয়ে পেছেন। কারণ যীশু বলেন, “…নতুন করে জন্ম না হলে কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না।“ (যোহন ৩:৩খ পদ) প্রিয় পাঠক, আত্নার জন্য বয়ে আনা শান্তি ও আনন্দের আভিজ্ঞতা যদি আপনার না হয়ে থাকে, নিশ্চিন্তে বিশ্রাম করবেন না, কারণ আপনি ঈশ্বর ও আপনার আত্নাকে তুচ্ছে মনে করছেন। আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার।
আপনি কি জানেন, বাইবেল শিক্ষা দেয় যে সব মানুষ পাপে জন্মেছে এবং মানুষের স্বভাব পাপ করা ? এভাবে সব মানুষই একটা হারানো পরিস্থিতি ও অবস্থার মধ্যে আছে । “ আমরা সবাই ভেড়ার মত করে বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছি ।” ( যিশাইয় ৫৩:৬ ক পদ ) । কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই মন্দ চিন্তা, সমস্ত রকম ব্যভিচার, চুরি, খুন, লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লম্পটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে ।” ( মার্ক ৭:২১, ২২ পদ ) । বাইবেলে আরও পড়ুন, ( গীত সংহিতা ৫১:৫ পদ ) ।
উদ্ধার পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে ? এখন আমি কিভাবে মনের শান্তি অর্জন করতে পারি এবং আগামীতে স্বর্গে যাবার নিশ্চয়তা পেতে পারি ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে হলে ঈশ্বরের কাছে আমাদের আসতে হবে । এখন , ঈশ্বর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে এবং কেমন করে উদ্ধার পাওয়া যায়, তা এখানে বলছি । ঈশ্বর হচ্ছেন মহা বিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা - তিনি একজন স্নেহশীল পিতা, যিনি তাঁর সন্তানদের ভালবাসেন এবং তাদের কাছ থেকে ভক্তি ও বাধ্যতা আশা করেন । তারা অবাধ্য হলে তিনি শাসন করেন, আবার অনুতাপ করে ফিরে আসলে তিনি ক্ষমাও করে দেন । ঈশ্বর হচ্ছেন মানুষ হচ্ছে উদ্ধার পাবার উপায়
মানুষের হৃদয়
সত্ব বন্ধন স্বাধীনতা বিষন্নতা আনন্দ ভয় শান্তি ঘৃণা ভালবাসা অপবিত্রতা পবিত্রতা আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যাদের হৃদয়ে রয়েছে অস্থিরতা । কেন তাদের হৃদয়ে এত অস্থিরতা, অবশ্য তার অনেক কারণও রয়েছে । তবে যে কারণেই হোক না কেন, আমরা এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এ সবই ঈশ্বর জানেন এবং যারা বিশ্বাসে তাঁর কাছে আসবে, তিনি তাদের প্রত্যেকটি অস্থির হৃদয়ে শান্তি দিতে অপেক্ষা করে আছেন । ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং তিনি আপনার হৃদয়ে বাস করতে চান । সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর সর্বপ্রথম যখন মানুষ সৃষ্টি করেন, তখন তিনি চেয়েছিলেন যেন মানুষ সুন্দর এদন বাগানে সুখে বসবাস করে এবং তাঁর সেবা করে ।