যীশু
মরিয়ম এবং স্বর্গদূত যীশুর জন্ম মেষপালকগণ পণ্ডিতগণ ঈশ্বরের উপহার দেওয়ার কারণ যীশু ঈশ্বরের একজাত পুত্র ছিলেন। তিনি নিস্পাপ জীবন জাপন করেছেন এবং তাঁর সকল পন্থায় তিনি ছিলেন নিখুত। ত্রিশ বছর বয়সে, যীশুর পিতা, ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনি দৃষ্টিহীনকে পুনরায় দৃষ্টি দান, নানা প্রকার রোগ থেকে লোকদের সুস্থতা দান এবং এমনকি মৃত ব্যক্তিকে পুনর্জীবন দান করার মত বত্থ অলৌকিক কাজ করেছেন। সর্বোপরি, তিনি স্বর্গে অনন্ত জীবন কাটানোর উপায় সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি সমগ্র জগতের পাপমোচনের জন্য এক বলিদান স্বরূপ নিজের জীবনকে বলি দিয়েছেন।
“ তোমরা একজন লোককে এসে দেখ । আমি জীবনে যা করেছি সবই তিনি আমাকে বলে দিয়েছেন । তাহলে উনিই কি সেই মশীহ ?” ( যোহন ৪:২৯ পদ ) । প্রিয় পাঠক - পাঠিকা বন্ধু, এই যীশুর সাথে কি আপনার পরিচয় হয়েছে ? যদি তাঁর সাথে পরিচয় হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তাঁকে প্রেমিক ও দয়ালু হিসাবে দেখতে পাবেন । আর যদি আপনার সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে তাঁকে মুক্তিদাতা ও উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহণ করেন তাহলে তিনি আপনার পাপের ক্ষমা দিতে প্রস্তুত আছেন । আপনি কি তাঁর কথা অন্যদের কাছে বলবেন যেন তারাও তাঁকে “ এসে দেখে” এবং তাঁকে বিশ্বাস করে ?
খ্রীষ্টের জন্ম
সকল প্রকার গল্প বা ঘটনার মধ্যে খ্রীষ্টের জন্মের ঘটনাটি খ্রীষ্টিয়ানদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি রয়েছে । সকল যুগের সেরা সবচেয়ে মহৎ আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে এটা, যার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা । পাপ করে মানুষ ঈশ্বরের সহভাগিতা থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলেছে । আদম ও হবা এদোন বাগানে ঈশ্বরের অবাধ্য হয়ে পাপ করার পর ঈশ্বর নিজেই একজন মুক্তিদাতা দেবার প্রতিজ্ঞা তাদের কাছে করেছিলেন ( আদি পুস্তক ৩ : ১৫ পদ ) । তারা যে সম্পর্ক হারিয়েছিল, তা আবার ফিরিয়ে আনতে এটাই ছিল ঈশ্বরের পরিকল্পনা ।
আমার কাছে তোমার জন্য সুখবর রয়েছে! এমন একজন আছেন যিনি তোমাকে সাহায্য করতে পারেন। তিনি তোমার পাপ ক্ষমা করতে পারেন এবং তোমাকে স্থায়ী সুখ দিতে পারেন। তাঁর নাম যীশু। তাঁর কথা তোমাকে বলতে চাই। তাঁর পিতা, ঈশ্বর, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সবকিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাকে এবং আমাকেও সৃষ্টি করেছেন। যীশু চেয়েছেন যেন তোমার ও আমার জন্য তাঁর পিতার যে মহা প্রেম তা আমরা বুঝতে পারি। তাঁর পিতার প্রেম বর্ণনা করতে তিনি এই গল্পটি বলেছেন। একজন লোক একটা শহরে তার দুই ছেলেকে নিয়ে সুখে বাস করছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে।
একদিন যীশু তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে জাচ্ছিলেন। তিনি শমরিয়ার একটি গ্রামে উপস্থিত হলেন। যখন তাঁর বন্ধুরা খাবার কিনতে গেলেন তিনি বিশ্রামের জন্য একটি কূয়ার পাশে বসলেন। যীশু যখন সেখানে বসেছিলেন, একজন মহিলা কূয়া থেকে জল নেবার জন্য এলো। যীশু তাকে বললেন, “আমাকে পান করার জন্য জল দেবে?” মহিলাটি আশ্চর্য্য হ’ল। “আপনি আমার কাছে জল চাচ্ছেন? আপনি কি জানেন না যে আমি একজন শমরীয় আর শমরীয়দের সঙ্গে জিহুদীদের কোন আচার ব্যবহার নেই?” যীশু নম্রভাবে উত্তর দিলেন, “তুমি যদি ঈশ্বরকে এবং তুমি যাঁর সঙ্গে কথা বলছো তাঁকে সত্যই জানতে তবে তুমি আমার কাছেই জীবন্ত জল চাইতে। আমি সানন্দে তা দিতাম।“
আপনি কার উপাসনা করেন ? আপনার ঈশ্বর কোথায় থাকেন ? তিনি কি জীবন্ত ? আজকে তিনি আপনার জন্য কি করছেন ? আপনি কি আজ তার সাথে কথা বলেছেন ? তিনি কি আপনার হৃদয়ের আর্তনাদ শুনে তার উত্তর দেন ? আসলে আপনার বিশ্বাস কি ? আসুন, একমাত্র সত্য ঈশ্বরের সাথে আপনার পরিচয় করিয়ে দেই, যিনি আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু শয়তানের উপরে বিজয় লাভ করেছেন । তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর, যাঁর কথায় সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে । পবিত্র বাইবেল স্বর্গের এই ঈশ্বরের কথা বলে , যিনি মানুষকে পৃথিবীর ধুলা - মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন । আদিপুস্তক প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় পড়ুন ।
যীশু তোমার বন্ধু
আমার একজন বন্ধু আছেন। আমার সব বন্ধুদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সেরা বন্ধু। তিনি এত দয়ালু এবং বিশ্বাস্ত যে আমি চাই যেন তুমিও তাঁকে জানতে পার। আরও চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, তিনিও তোমার বন্ধু হতে চান। এখন আমি তাঁর কথা তোমাকে বলছি। এই ঘটনাটি আমরা বাইবেলে দেখতে পাই। বাইবেল হচ্ছে খুবই খাঁটি। এটা ঈশ্বরের বাক্য। ঈশ্বর হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই জগৎ এবং তাঁর মধ্যেকার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি হচ্ছেন স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু বাঁ মালিক। তিনিই সবকিছুর জীবন দেন এবং জীবন-বায়ু দেন। কোন একদিন তিনি আবার আসছেন! তাঁর উপরে যারা বিশ্বাস করেছে তাদের সকলকে তিনি স্বর্গের বাসস্থানে নিয়ে যাবেন।
যীশুর ভালবাসা
“পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন । কিন্তু শিষ্যেরা সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন । যীশু তা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে শিষ্যদের বললেন, ছেলে মেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এদের মত লোকদেরই । আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলে মেয়েদের মত করে ঈশ্বরের শাসন মেনে না নিলে কেউ কোন মতেই ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারবে না । তারপর যীশু সেই ছেলেমেয়েদের কোলে নিলেন এবং তাদের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন” ( মার্ক ১০ : ১৩ - ১৬ পদ ) । যীশু করেন প্রেম আমায়
এক সময় এই জগতে কিছুই ছিল না । না ছিল মাছ ! না ছিল আকাশে তারা ! না ছিল সাগর ও সুন্দর ফুল ! সব কিছু শূন্য ও অন্ধকার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর ছিলেন । ঈশ্বরের ছিল এক চমৎকার পরিকল্পনা । তিনি একটি মনোরম জগতের চিন্তা করেছিলেন, আর চিন্তার সাথে সাথেই তিনি করেছিলেন তার সৃষ্টি । যখন কিছুই ছিল না, তখন তিনি সবকিছুই সৃষ্টি করলেন । ঈশ্বর কোন কিছু সৃষ্টির আগে শুধু বললেন, ‘ এটা হোক’ এবং তা - ই হল । ঈশ্বর তাদের ভীষণ ভালবাসতেন । যে বাগানে তারা থাকত, তিনি প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে তাদের দেখতে যেতেন ।