পুস্তিকাগুলি

মদ মাদক দ্রব্য লালসা অপরাধ জেলখানা হতাশা মৃত্যু “ পাপ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু “ ( রোমীয় ৬ : ২৩ পদ ) আসুন আমরা বাস্তবের সামনে দাঁড়াই । মদ, মাদকদ্রব্য এবং অনৈতিকতার মত ভয়ংকর রাক্ষস গুলো ঈশ্বরের মহৎ এবং সুন্দর সৃষ্টির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়েছে এবং সৃষ্টিকে ধ্বংস করেছে । ঠিক যেমন বিরাটাকার অজগর ; যা ছোট বড় সকলকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয় এবং গিলে ফেলে ।

নৈতিক 6 minutes

সত্ব বন্ধন স্বাধীনতা বিষন্নতা আনন্দ ভয় শান্তি ঘৃণা ভালবাসা অপবিত্রতা পবিত্রতা আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যাদের হৃদয়ে রয়েছে অস্থিরতা । কেন তাদের হৃদয়ে এত অস্থিরতা, অবশ্য তার অনেক কারণও রয়েছে । তবে যে কারণেই হোক না কেন, আমরা এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এ সবই ঈশ্বর জানেন এবং যারা বিশ্বাসে তাঁর কাছে আসবে, তিনি তাদের প্রত্যেকটি অস্থির হৃদয়ে শান্তি দিতে অপেক্ষা করে আছেন । ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং তিনি আপনার হৃদয়ে বাস করতে চান । সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর সর্বপ্রথম যখন মানুষ সৃষ্টি করেন, তখন তিনি চেয়েছিলেন যেন মানুষ সুন্দর এদন বাগানে সুখে বসবাস করে এবং তাঁর সেবা করে ।

এই পৃথিবী একটা অস্থির জায়গা। আমরা দেখি, মানুষ ইতস্তত ছুটাছুটি করে চলেছে তাদের জীবনকে খুশী করার জন্য ধন-সম্পদ আয় করতেও অনেকে নিজেদের একান্তভাবে ব্যস্ত রাখে। অন্য অনেকে জগতের সব রকম ভোগ-বিলাসে নিজেদের সময় কাটায়। আবার কেউ কেউ অলস অবসর কাটাতে পছন্দ করে এবং কম খাটুনি করে বেশী অর্থ উপার্জন করতে চেষ্টা করে ও খেলাধুলায় বেশী সময় ব্যয় করে। তবুও তাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। খেলার সরঞ্জাম, আনন্দ-স্ফূর্তি ও সম্পত্তির প্রতি তাদের আকর্ষণ অবশেষে শেষ হয়ে যায়।কারন প্রতিটা নতুন ভোগ-বিলাস ও তার চাহিদা কিছুদিন থাকে, কিন্তু আবার হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। তবু মনে হয় জীবনে আরো কিছু দরকার। জীবন কি?

এই মুহূর্তে আপনি বেঁচে আছেন; আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন; প্রতিদিনই কিছু খাবার খাচ্ছেন ও জল পান করছেন। আমরা চলাফেরা করি অথবা কাজ করি এবং ঘুমাই। হয়তো আমরা আরামে জীবন কাটাই অথবা কষ্টে থাকি। সূর্য উঠে আবার অস্ত যায়; কোথাও একটি শিশু জন্ম নিচ্ছে, কিন্তু আবার কোথাও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। পুরো জীবনটাই একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা কিন্তু মৃত্যুর পর আমি কোথায় যাই? যদিও আমি একজন নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান: অথবা একজন মুসলমান , অথবা একজন হিন্দু , অথবা একজন বৌদ্ধ, অথবা একজন ইহুদী, অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ অথবা কোন ধর্মে বিশ্বাস করি না —— কিন্তু কোথায়? আপনার আত্মা কখনও মরবে না

আমার একজন বন্ধু আছেন। আমার সব বন্ধুদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সেরা বন্ধু। তিনি এত দয়ালু এবং বিশ্বাস্ত যে আমি চাই যেন তুমিও তাঁকে জানতে পার। আরও চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, তিনিও তোমার বন্ধু হতে চান। এখন আমি তাঁর কথা তোমাকে বলছি। এই ঘটনাটি আমরা বাইবেলে দেখতে পাই। বাইবেল হচ্ছে খুবই খাঁটি। এটা ঈশ্বরের বাক্য। ঈশ্বর হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই জগৎ এবং তাঁর মধ্যেকার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি হচ্ছেন স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু বাঁ মালিক। তিনিই সবকিছুর জীবন দেন এবং জীবন-বায়ু দেন। কোন একদিন তিনি আবার আসছেন! তাঁর উপরে যারা বিশ্বাস করেছে তাদের সকলকে তিনি স্বর্গের বাসস্থানে নিয়ে যাবেন।

“পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন । কিন্তু শিষ্যেরা সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন । যীশু তা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে শিষ্যদের বললেন, ছেলে মেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এদের মত লোকদেরই । আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলে মেয়েদের মত করে ঈশ্বরের শাসন মেনে না নিলে কেউ কোন মতেই ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারবে না । তারপর যীশু সেই ছেলেমেয়েদের কোলে নিলেন এবং তাদের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন” ( মার্ক ১০ : ১৩ - ১৬ পদ ) । যীশু করেন প্রেম আমায়

সবাই পাপ করেছে আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন । আপনার জন্য আশা যীশু আপনাকে শান্তি দেবেন আপনি এখনই যীশুর দান গ্রহণ করতে পারেন ছোট ছেলেটি তার শিক্ষককে বিশ্বাস করেছিল , টেবিল পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিল এবং তা - ই ঘড়িটি পেয়েছিল । একইভাবে আপনিও দান গ্রহণ করতে পারেন, যা যীশু আপনাকে দিতে চান । আপনি খ্রীষ্টের সাথে আনন্দে থাকতে পারেন আপনি যীশুর জন্য কাজ করতে পারেন

যোহন সুসমাচার ১০ : ১ - ১৮ আপনি কি কখনও এরকম ডাক শুনেছেন, কেউ আপনার নাম ধরে ডাকছে অথচ আপনি জানেন না কোত্থেকে এই ডাক আসছে ? অথবা, হয়তো চারিদিকের হৈ চৈ হট্টগোলের মধ্যে আপনি এই ডাক ভালভাবে শুনতে পারছেন না । শুনুন, একটা ডাক শোনা যাচ্ছে । শুনছেন, আপনাকেই ডাকছে ! আপনি কে ? আপনার নাম কি? আপনি কোত্থেকে এসেছেন ? আপনি কোথায় থাকেন ? আপনি কোথায় যাচ্ছেন ? পবিত্র বাইবেল সেই সময় থেকে অনেক সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ করেছে, অনেক মানুষ মারা গেছে । এরকম করে হাজার হাজার জন্ম নিয়েছে এবং হাজার হাজার মারা গেছে । ঈশ্বর যীশু, রাখালের কণ্ঠস্বর

এক সময় এই জগতে কিছুই ছিল না । না ছিল মাছ ! না ছিল আকাশে তারা ! না ছিল সাগর ও সুন্দর ফুল ! সব কিছু শূন্য ও অন্ধকার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর ছিলেন । ঈশ্বরের ছিল এক চমৎকার পরিকল্পনা । তিনি একটি মনোরম জগতের চিন্তা করেছিলেন, আর চিন্তার সাথে সাথেই তিনি করেছিলেন তার সৃষ্টি । যখন কিছুই ছিল না, তখন তিনি সবকিছুই সৃষ্টি করলেন । ঈশ্বর কোন কিছু সৃষ্টির আগে শুধু বললেন, ‘ এটা হোক’ এবং তা - ই হল । ঈশ্বর তাদের ভীষণ ভালবাসতেন । যে বাগানে তারা থাকত, তিনি প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে তাদের দেখতে যেতেন ।

যীশু 5 minutes

সরল হলেও ভুল হয় জনপ্রিয় একটা ধারণা : ‘আপনি কি বিশ্বাস করেন বা না করেন, তাতে কিছু যায় আসে না, যদি আপনি সরল বা আন্তরিক হন ।’ যাই হোক, বিশ্বাসে অবশ্যই আপনাকে সরল বা আন্তরিক হতে হবে , যেন সঠিক কাজটি করতে পারেন । সরল বা আন্তরিক একজন লোকের সব কাজেই আমাদের গভীর শ্রদ্ধাবোধ থাকে । এমন লোক তার দৃঢ় বিশ্বাসের জন্য জীবন দিতেও ইতস্তত করে না । কিন্তু সরল বা আন্তরিক হওয়াই যথেষ্ট নয় ।

ছলনা 5 minutes