পুস্তিকাগুলি
ভয় কি ঈশ্বর ভয় ভবিষ্যতের ভয় ব্যর্থতার ভয় কষ্ট পাবার ভয় মৃত্যুর ভয় ভয় হচ্ছে এমন এক গোপন শত্রু, যা সব বয়স ও জীবিকার মানুষের মধ্যে হানা দেয় । এই ভয় খুব সূক্ষ্ম এবং ধ্বংসাত্মক, চিন্তাকে বিষময় করে, অন্তরের শান্তিকে কেড়ে নেয় এবং আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয় । ভয় আমাদেরকে বিচলিত, অস্থির, আতঙ্কিত, বিশৃঙ্খল, নিরাশ এবং মনকে দুর্বল করে তোলে । সত্যই খুব দুঃখজনক ও অপছন্দনীয় এই অনুভূতি !
আমরা যখন কোন স্থানে বা কাজের জায়গায় কোন বন্ধু - বান্ধবের সাথে দেখা করে বিদায় নিই , তখন প্রায়ই এই কথাটি শুনে থাকি । কিন্তু আমরা কি আশা করি , কি করলে ঐ দিনটি সত্যিই ভালো হবে ? কোন সমস্যা এবং দ্বন্দ্ব ছাড়া দিনটি ভালো যাবে এবং সকলেই আমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করবে ?
প্রত্যেকেই কোন না কোন কিছুর উপাসনা করে থাকে । কোন লোক বিভিন্ন বস্তুর উপাসনা করে, কেউ একজন মানুষের, কেউ প্রতিমার এবং কেউ আবার নিজেরই উপাসনা করে থাকে । বিভিন্নভাবে তারা তাদের ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভক্তি প্রকাশ করে । যেহেতু এই ধরনের প্রচুর লোক আছে যারা এইসব বিভিন্ন ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভক্তি প্রকাশ করে, তবুও তাদের হৃদয়ে এক ধরনের আকাঙ্ক্ষা ও আর্তনাদ থেকেই যায় । এইসব লোকেরা শুধুমাত্র সাময়িকভাবে তাদের প্রাণের আর্তনাদের উপশম খুঁজে পায় এবং সামনের দিনটি মোকাবেলা করতে সাহস কম পায় । অতীতের মত ভবিষ্যতেও তাদের দুশ্চিন্তা সব সময় ঠিক একই রকম থেকে যায় । তারা যে দেব - দেবতার সেবা করে , তারা তাদের জীবনের শূন্যতা পূরণ করতে অসমর্থ।
মদ মাদক দ্রব্য লালসা অপরাধ জেলখানা হতাশা মৃত্যু “ পাপ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু “ ( রোমীয় ৬ : ২৩ পদ ) আসুন আমরা বাস্তবের সামনে দাঁড়াই । মদ, মাদকদ্রব্য এবং অনৈতিকতার মত ভয়ংকর রাক্ষস গুলো ঈশ্বরের মহৎ এবং সুন্দর সৃষ্টির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়েছে এবং সৃষ্টিকে ধ্বংস করেছে । ঠিক যেমন বিরাটাকার অজগর ; যা ছোট বড় সকলকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয় এবং গিলে ফেলে ।
সত্ব বন্ধন স্বাধীনতা বিষন্নতা আনন্দ ভয় শান্তি ঘৃণা ভালবাসা অপবিত্রতা পবিত্রতা আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যাদের হৃদয়ে রয়েছে অস্থিরতা । কেন তাদের হৃদয়ে এত অস্থিরতা, অবশ্য তার অনেক কারণও রয়েছে । তবে যে কারণেই হোক না কেন, আমরা এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এ সবই ঈশ্বর জানেন এবং যারা বিশ্বাসে তাঁর কাছে আসবে, তিনি তাদের প্রত্যেকটি অস্থির হৃদয়ে শান্তি দিতে অপেক্ষা করে আছেন । ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং তিনি আপনার হৃদয়ে বাস করতে চান ।
এই পৃথিবী একটা অস্থির জায়গা। আমরা দেখি, মানুষ ইতস্তত ছুটাছুটি করে চলেছে তাদের জীবনকে খুশী করার জন্য ধন-সম্পদ আয় করতেও অনেকে নিজেদের একান্তভাবে ব্যস্ত রাখে। অন্য অনেকে জগতের সব রকম ভোগ-বিলাসে নিজেদের সময় কাটায়। আবার কেউ কেউ অলস অবসর কাটাতে পছন্দ করে এবং কম খাটুনি করে বেশী অর্থ উপার্জন করতে চেষ্টা করে ও খেলাধুলায় বেশী সময় ব্যয় করে। তবুও তাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। খেলার সরঞ্জাম, আনন্দ-স্ফূর্তি ও সম্পত্তির প্রতি তাদের আকর্ষণ অবশেষে শেষ হয়ে যায়।কারন প্রতিটা নতুন ভোগ-বিলাস ও তার চাহিদা কিছুদিন থাকে, কিন্তু আবার হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। তবু মনে হয় জীবনে আরো কিছু দরকার।
এই মুহূর্তে আপনি বেঁচে আছেন; আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন; প্রতিদিনই কিছু খাবার খাচ্ছেন ও জল পান করছেন। আমরা চলাফেরা করি অথবা কাজ করি এবং ঘুমাই। হয়তো আমরা আরামে জীবন কাটাই অথবা কষ্টে থাকি। সূর্য উঠে আবার অস্ত যায়; কোথাও একটি শিশু জন্ম নিচ্ছে, কিন্তু আবার কোথাও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। পুরো জীবনটাই একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা কিন্তু মৃত্যুর পর আমি কোথায় যাই? যদিও আমি একজন নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান: অথবা একজন মুসলমান , অথবা একজন হিন্দু , অথবা একজন বৌদ্ধ, অথবা একজন ইহুদী, অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ অথবা কোন ধর্মে বিশ্বাস করি না ——
আমার একজন বন্ধু আছেন। আমার সব বন্ধুদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সেরা বন্ধু। তিনি এত দয়ালু এবং বিশ্বাস্ত যে আমি চাই যেন তুমিও তাঁকে জানতে পার। আরও চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, তিনিও তোমার বন্ধু হতে চান। এখন আমি তাঁর কথা তোমাকে বলছি। এই ঘটনাটি আমরা বাইবেলে দেখতে পাই। বাইবেল হচ্ছে খুবই খাঁটি। এটা ঈশ্বরের বাক্য। ঈশ্বর হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই জগৎ এবং তাঁর মধ্যেকার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি হচ্ছেন স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু বাঁ মালিক। তিনিই সবকিছুর জীবন দেন এবং জীবন-বায়ু দেন।
“পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন । কিন্তু শিষ্যেরা সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন । যীশু তা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে শিষ্যদের বললেন, ছেলে মেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এদের মত লোকদেরই । আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলে মেয়েদের মত করে ঈশ্বরের শাসন মেনে না নিলে কেউ কোন মতেই ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারবে না । তারপর যীশু সেই ছেলেমেয়েদের কোলে নিলেন এবং তাদের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন” ( মার্ক ১০ : ১৩ - ১৬ পদ ) ।
যেহেতু আমি একজন খ্রীষ্টিয়ান এবং পরিত্রাণ বা উদ্ধার পেয়েছি , মানে পাপের ক্ষমা পেয়েছি ; এবং পবিত্র আত্মা আমার হৃদয়ে বাস করেন , সেহেতু স্বর্গে আমার অধিকার আছে । আমি আমার অতীত জীবনের পাপ সকল স্বীকার করেছি এবং ত্যাগ করেছি । “ যে লোক নিজের পাপ গোপন করে তার উন্নতি হয় না , কিন্তু যে তা স্বীকার করে ত্যাগ করে সে করুণা পায় ।” ( হিতোপদেশ ২৮ : ১৩ পদ ) । যীশুর রক্তের মাধ্যমে আমি সম্পূর্ণ ক্ষমা ও মুক্তি লাভ করেছি । “ এই পুত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমরা মুক্ত হয়েছি , অর্থাৎ আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি ।” ( কলসীয় ১ : ১৪ পদ ) । যীশু আমার হৃদয়ে বাস করাতে আমার অসংযত ইচ্ছা , হালকা মনোভাব , নোংরা কথাবার্তা , কৌতুক , গালাগালি , জাগতিক আনন্দ স্ফুর্তি , গর্ব এবং অন্যান্য পাপে পূর্ণ আমোদ - প্রমোদ এর ইচ্ছা দূর হয়ে গেছে ।