পুস্তিকাগুলি
আপনি কি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন, অথবা হৃদয়ের গভীরে এক ধরনের অপরাধবোধ এবং ভয় অনুভব করেন? আপনি কি কখনও আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে চিন্তা করেন? অনেকেই এ ধরনের অনুভূতির উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করে থাকে। কোন উৎসব অথবা বিনোদন কিছু সময়ের জন্য এই অনুভূতিগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। সম্ভবতঃ তারপরেই এইগুলি আগের চেয়ে আরো কঠিনভাবে আপনার জীবনে ফিরে আসে। সৃষ্টির শুরুতেই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ করে সৃষ্টি করেছিলেন। মানুষের কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু শয়তান এসে মানুষকে বিপথে চালিয়ে ঈশ্বরের অবাধ্য করল। মানুষ পাপের মধ্যে পড়ল। সে আর নির্দোষ থাকতে পারল না। সেই সময় থেকেই সব মানুষ পাপী।
আপনি কি জানেন, বাইবেল শিক্ষা দেয় যে সব মানুষ পাপে জন্মেছে এবং মানুষের স্বভাব পাপ করা ? এভাবে সব মানুষই একটা হারানো পরিস্থিতি ও অবস্থার মধ্যে আছে । “ আমরা সবাই ভেড়ার মত করে বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছি ।” ( যিশাইয় ৫৩:৬ ক পদ ) । কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই মন্দ চিন্তা, সমস্ত রকম ব্যভিচার, চুরি, খুন, লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লম্পটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে ।” ( মার্ক ৭:২১, ২২ পদ ) । বাইবেলে আরও পড়ুন, ( গীত সংহিতা ৫১:৫ পদ ) ।
“তুমি অন্তরের মধ্যে সত্য দেখতে চাও , “ ( গীত সংহিতা ৫১ : ৬ ক পদ ) জীবনের সকল স্তরেই সত্যবাদিতা নৈতিক সদগুনের সাথে সম্পর্কযুক্ত । সততা সত্যিকারেরই হৃদয় ঘঠিত ব্যাপার । সততা যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের মূলনীতি । আমাদের হৃদয়ের চিন্তা এবং ইচ্ছা, সবই ঈশ্বর জানেন । তিনি সত্যকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসাবে বিবেচনা করেন, কারন তিনি হচ্ছেন সত্যের ঈশ্বর । ( দ্বিতীয় বিবরণ ৩২ : ৪ পদ ) । ঈশ্বর আমাদের পরিপূর্ণ সততাকে অবশ্যই আশীর্বাদ করে থাকেন ।
আপনি কি ক্ষমা পেয়েছেন ? এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের উপরে নির্ভর করছে আপনার অনন্তকালীন ভবিষ্যত । পবিত্র বাইবেল আমাদের এই শিক্ষা দেয়,”নির্দোষ কেউ নেই, একজনও নেই” ( রোমীয় ৩:১০ পদ ) । একই অধ্যায়ের ২৩ পদ এই কথা বলে, “কারণ সবাই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা পাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।” যদি আমরা আমাদের পাপের ফল থেকে উদ্ধার পেতে চাই, তাহলে অবশ্যই ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমা পেতে হবে। কোন একদিন বিচারের দিনে প্রভুর সাথে আমাদের দেখা হবে। “ খ্রীষ্টের বিচার -আসনের সামনে আমাদের সকলের সবকিছু প্রকাশ করা হবে, যেন আমরা প্রত্যেকে এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি, তা ভাল হোক বা মন্দ হোক, সেই হিসেবে তার পাওনা পাই” ( ২ করিন্থীয় ৫:১০ পদ )।
প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আকাংখা থাকে সে যেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকতে পারে । ছোট বাচ্চা শিশুদের একলা ফেলে রাখলে তারা ভয় পায় । তারা অন্ধকার বা অজানা কোন কিছুকে ভয় পেয়ে যায় । ছেলে - মেয়েরা অবশ্যই পিতা - মাতার ভালবাসার বাহুডোরে থাকতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত মনে করে । এখানেই তারা সুরক্ষিত থাকার নিশ্চয়তা লাভ করে । বয়সে পরিপক্ক হতে হতে আমাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষিত থাকার আকাংখা কিন্তু আমাদের ছেড়ে যায় না । এটা আমাদের জন্মগত আকাংখা, যা আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিয়েছেন । পক্ষান্তরে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের নির্ভিক দেখায়; কিন্তু তাদের হৃদয়ে তারা অজানা কোন কিছুকে ভয় পায়, কষ্টকে , দুর্ঘটনাকে, অথবা অসুস্থতাকে ভয় পায় । তাদের মনের মধ্যে এক রকম অস্বস্থি অনুভব করে, যখন ভাবে মৃত্যুর পরে আমার কি হতে পারে ।
আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন ।
দেশের কোন নেতার সাথে অথবা কোন বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে আপনি কি পছন্দ করেন ? আবার, তাদের কাউকে আপনার বাসায় পেতে কেমন লাগবে ? আমরা অনেকেই এমন সুযোগ পাই না । কিন্তু আপনি কি জানেন, এদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একজনের সাথে আপনি কথা বলতে পারেন ? আবার, এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আপনি আপনার বাসায়ও পেতে পারেন !
সময়কাল শুরু হবার আগে থেকেই ঈশ্বর, তার একজাত পুত্র যীশু এবং পবিত্র আত্মার ছিলেন। তাঁরা পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছুরই সৃষ্টি করেছেন। তার ভালবাসায়, ঈশ্বর তার নিজ প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করে তাকে এক অপূর্ব বাগান রেখেছিলেন। মানুষ ঈশ্বরের নির্দেশগুলির অবাধ্য হয়েছিল। এই অবাধ্যতাই ছিল পাপ এবং ঈশ্বর থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। তিনি তাদের পাপ মোছনের জন্য নিখুঁত কম বয়সী পশু বলি দিতে বলেছিলেন। এই সমস্ত বলিদান তাদের পাপের দেনা শোধ করেনি কিন্তু এক চূড়ান্ত বলিদানের ইঙ্গিত দিয়েছিল যা ঈশ্বরীঈ জোগাবেন। একদিন ঈশ্বর তাঁর পুত্র যিশুকে সকল মানুষের পাপের মোচনের জন্য চূড়ান্ত বলিদান স্বরূপ এ জগতে পামরিয়ম এবং স্বর্গদূত
উদ্ধার পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে ? এখন আমি কিভাবে মনের শান্তি অর্জন করতে পারি এবং আগামীতে স্বর্গে যাবার নিশ্চয়তা পেতে পারি ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে হলে ঈশ্বরের কাছে আমাদের আসতে হবে । এখন , ঈশ্বর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে এবং কেমন করে উদ্ধার পাওয়া যায়, তা এখানে বলছি । ঈশ্বর হচ্ছেন মহা বিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা - তিনি একজন স্নেহশীল পিতা, যিনি তাঁর সন্তানদের ভালবাসেন এবং তাদের কাছ থেকে ভক্তি ও বাধ্যতা আশা করেন । তারা অবাধ্য হলে তিনি শাসন করেন, আবার অনুতাপ করে ফিরে আসলে তিনি ক্ষমাও করে দেন ।
পবিত্র বাইবেলে আমরা পড়ি, “ তারপর আমি দেখলাম, ছোট - বড় সব মৃত লোকেরা সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । এর পর কতগুলো বই খোলা হল । তার পরে আর একটা বই খোলা হল । ওটা ছিল জীবন - বই । এই মৃত লোকদের কাজ সম্বন্ধে সেই বইগুলোতে যেমন লেখা হয়েছিল সেই অনুসারেই তাদের বিচার হল” ( প্রকাশিত বাক্য ২০ : ১২ পদ ) । এই অংশটি প্রমাণ করে যে ঈশ্বর সব কিছু তথ্য - প্রমাণ লিখে রাখেন ।