আপনি কি জানেন যে , পাপের জন্য ঈশ্বর আপনাকে দোষী করেছেন এবং মৃত্যুর দ্বারা শাস্তি দিয়েছেন ? যদি পাপী মানুষ এই অনন্ত মৃত্যু থেকে উদ্ধার পেয়ে অনন্ত কালের জন্য বাঁচতে চায় তাহলে ঈশ্বরের দয়া পেতে হবে । আমাদের পাওনা শাস্তি ঠেকিয়ে রাখার জন্যই এই দয়া । কিন্তু শর্ত ছাড়া ঈশ্বর মানুষকে দয়া করেন না , যদিও উদ্ধার বিনা পয়সার, যা কেনা যায় না বা উপার্জনও করা যায় না । যে শর্তে ঈশ্বর দয়া করেন তা হল অনুতাপ । সবাই পাপ করেছে পাপ আলাদা করে যীশু দরজা খোলেন অনুতাপ, আমাদের দায়িত্ব
‘ ঈশ্বর , তুমি কোথায় ?’ ‘ আমি তোমাকে চাই ।’ ‘তোমাকে আমার দরকার ।’ ‘ কি করে আমি তোমাকে পেতে পারি ?’ এই কি আপনার দুঃখ ভরা হৃদয়ের কান্না ? আপনার সমস্ত মন দিয়ে আপনি কি ঈশ্বরকে খুঁজতে এবং তাঁর কাছে পৌঁছাতে চান ? কিন্তু মনে হচ্ছে, কোন না কোন ভাবে তিনি আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন আর আপনি তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না ।
ভালবাসা …………. ! সকল ভাষায় এটি একটি চমৎকার শব্দ । এটি আমাদের মনের মধ্যে কিছু কিছু কথা বলে থাকে, যা হল ঃ স্নেহ, মায়া, উষ্ণতা, দয়া, সমঝোতা, নিরাপত্তা এবং মা’র কথা ? কিন্তু আপনার নিজের কথা চিন্তা করুন ; - এই সুন্দর শব্দটি আপনার কাছে সত্যি কোন অর্থ প্রকাশ করে কি ? আপনি কি ভালবাসা পেতে চান ? আপনি কি ভালবাসতে চান ? ভালবাসার ঠিক উল্টো শব্দগুলি হচ্ছেঃ ঘৃণা, অবিশ্বাস, স্বার্থপরতা এবং যুদ্ধ । আজকের পৃথিবীতে বিভিন্ন অবস্থার দিকে তাকালে এবং এখানকার অনেক পরিবারে যে সমস্যাগুলি রয়েছে , তা দেখে আমরা বুঝতে পারি যে ভালবাসার কি ভীষণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।
বিশুদ্ধতা ভালবাসা সুখী সংসার আস্থা কামলালসা লজ্জা ভয় ভাঙা সংসার একাকীত্ব মনের বিশুদ্ধতা, নীতিবোধ এবং দেহ অসাধারণ ব্যক্তিগত সম্পদ বলা হয় । শুধু এটাই যদিও ধার্মিকতা নয়, কিন্তু তা খ্রীষ্টিয়ান জীবনের নৈতিক গুণাবলী এবং মানব জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ । আজকের দিনে আদর্শ মূল্যবোধ ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, আর পুরুষ ও নারীকে এমন আচার - আচরণ গ্রহণ করতে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা বাইবেলে পরিষ্কারভাবে পাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এরকম আচার - আচরণ এখন অনেক লোকের গ্রহণযোগ্য জীবনের পথ । ঈশ্বর যা পাপ বলে উল্লেখ করেছেন, তাদের কাছে তা পাপ বলে গণ্য হয় । এর পরিণতি কি ?
ঈশ্বরের বাক্যের আলোকে শয়তানের কৌশল বুঝতে পারা পবিত্র বাইবেলের উদ্দেশ্য শয়তান ও তার কাজকর্মের দিকে দৃষ্টি রাখা নয় । তা সত্বেও, বাইবেলে আমরা এমন অনেক কিছু পাই যা তার বৈশিষ্ট্য ও কাজের বিষয় প্রকাশ করেছে। শয়তান এক সময় ছিল একজন স্বর্গদূত, কিন্তু সে তার সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের বিপক্ষে গেল এবং তাঁর ( ঈশ্বরের ) মত হতে চাইল । অন্ধকার রাজ্যে শয়তানের কৃত কাজগুলো নতুন নয়। যুগের পর যুগ ধরে ঈশ্বরের রাজ্যের বিপক্ষতা করাই তার কাজ এবং সেগুলোই হচ্ছে তার চেষ্টার নমুনা । ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে যা কিছু সম্পাদন করে থাকেন, শয়তান ঠিক তার বিকল্প কাজটাই করে থাকে।
আপনিই আপনার অযুহাতগুলি জানেন । যা কিছু ঈশ্বরের ইচ্ছা থেকে আপনাকে দূরে রাখছে, তা - তো আপনার মনের ভেতরেই আছে । আপনি কি চান এগুলো আপনার স্বর্গে যাবার পথ বন্ধ করে রাখুক ? যেদিন থেকে অযুহাত দেখানো শুরু করেছেন এবং মনের ভেতরে পাপ পুষে রেখেছেন ; এইসব কারণগুলো সেদিন থেকে আপনার স্বর্গে যাবার বিপক্ষে । আপনি স্বর্গে যেতে পারছেন না, কারণ আপনার চিন্তা, আপনার কাজ, আর যা কিছু বলেছেন , সবই আপনাকে স্বর্গে যাবার পথ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে ।
মানুষ এখন ক্লান্ত আর উদ্বিগ্ন । বলার অপেক্ষা রাখে না, তাদের একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে পরিচালনা ও পরামর্শ, নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তার । আমাদের প্রয়োজন ও চাওয়া হচ্ছে মনের শান্তি । মনের শান্তি - এ এক অমূল্য সম্পদ । দ্বন্দ্ব ও হতাশা, অজস্র বিক্ষোভে অস্থিরতায় ভরা এই পৃথিবীতে এই সম্পদ পাওয়া কি সত্যিই সম্ভব ? অশান্ত মানুষ ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করে তাকে একটা সুন্দর বাগানের মধ্যে রাখলেন যেন মানুষ প্রকৃত শান্তি, আনন্দ এবং সুখভোগ করতে পারে । শান্তিরাজ যীশু খ্রীষ্ট অনুতাপ ও পাপ স্বীকার মনের শান্তি আনে চিরস্থায়ী শান্তি যেখানে শান্তি নেই, সেখানেও আছে এক শান্তি, -রালফ স্প্যাডিং কুশম্যান
আমাদের প্রশ্ন , “প্রায় সারা পৃথিবী জয় করে শুধুমাত্র ওয়াটারলু যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নেপোলিয়নের কি লাভ হয়েছিল ? তার সৌভাগ্য, সুনাম ও গৌরব মুহুর্তেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল । তার সকল বিজয় , তার জয় করা সব দেশগুলোর বিনিময়েও তার জীবনের স্বাধীনতা কেনা সম্ভব ছিল না । এই শেষ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি তো সবই হারালেন ।
একজন ব্যক্তি কি উদ্ধার পেয়েছে, এই প্রশ্নটির উত্তর বার বার জিজ্ঞাসা করা হয় । বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর আছে কি না ? একজন ব্যক্তি কি জানে, তার পাপ ক্ষমা হয়েছে, কি হয় নাই ? অথবা, পাপ ক্ষমা পাবার জন্য কি তাকে বিচার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ? সেই পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান ফেলে রাখা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ । ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া এই ভালবাসা সাধারণ ভালবাসার ও পারিবারিক বন্ধনের চেয়ে অনেক অনেক উপরে । এই ভালবাসা তার শত্রুকেও ভালবাসতে এমন কি যারা তাকে ঘৃণা করে তাদের ও ভালবাসতে শেখায় ( মথি ৫ : ৪৪ পদ ) ।
যীশু আমাদের বলেন যে স্বর্গের দরজাগুলি আমাদের জন্য বন্ধ যদি না আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। এই জন্য আমরা প্রশ্ন করিঃ বন্ধু, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? গির্জার সদস্য, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে আপনি হারিয়ে পেছেন। কারণ যীশু বলেন, “…নতুন করে জন্ম না হলে কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না।“ (যোহন ৩:৩খ পদ) প্রিয় পাঠক, আত্নার জন্য বয়ে আনা শান্তি ও আনন্দের আভিজ্ঞতা যদি আপনার না হয়ে থাকে, নিশ্চিন্তে বিশ্রাম করবেন না, কারণ আপনি ঈশ্বর ও আপনার আত্নাকে তুচ্ছে মনে করছেন। আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার।
আপনি কি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন, অথবা হৃদয়ের গভীরে এক ধরনের অপরাধবোধ এবং ভয় অনুভব করেন? আপনি কি কখনও আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে চিন্তা করেন? অনেকেই এ ধরনের অনুভূতির উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করে থাকে। কোন উৎসব অথবা বিনোদন কিছু সময়ের জন্য এই অনুভূতিগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। সম্ভবতঃ তারপরেই এইগুলি আগের চেয়ে আরো কঠিনভাবে আপনার জীবনে ফিরে আসে। সৃষ্টির শুরুতেই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ করে সৃষ্টি করেছিলেন। মানুষের কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু শয়তান এসে মানুষকে বিপথে চালিয়ে ঈশ্বরের অবাধ্য করল। মানুষ পাপের মধ্যে পড়ল। সে আর নির্দোষ থাকতে পারল না। সেই সময় থেকেই সব মানুষ পাপী।
আপনি কি জানেন, বাইবেল শিক্ষা দেয় যে সব মানুষ পাপে জন্মেছে এবং মানুষের স্বভাব পাপ করা ? এভাবে সব মানুষই একটা হারানো পরিস্থিতি ও অবস্থার মধ্যে আছে । “ আমরা সবাই ভেড়ার মত করে বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছি ।” ( যিশাইয় ৫৩:৬ ক পদ ) । কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই মন্দ চিন্তা, সমস্ত রকম ব্যভিচার, চুরি, খুন, লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লম্পটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে ।” ( মার্ক ৭:২১, ২২ পদ ) । বাইবেলে আরও পড়ুন, ( গীত সংহিতা ৫১:৫ পদ ) ।
“তুমি অন্তরের মধ্যে সত্য দেখতে চাও , “ ( গীত সংহিতা ৫১ : ৬ ক পদ ) জীবনের সকল স্তরেই সত্যবাদিতা নৈতিক সদগুনের সাথে সম্পর্কযুক্ত । সততা সত্যিকারেরই হৃদয় ঘঠিত ব্যাপার । সততা যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের মূলনীতি । আমাদের হৃদয়ের চিন্তা এবং ইচ্ছা, সবই ঈশ্বর জানেন । তিনি সত্যকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসাবে বিবেচনা করেন, কারন তিনি হচ্ছেন সত্যের ঈশ্বর । ( দ্বিতীয় বিবরণ ৩২ : ৪ পদ ) । ঈশ্বর আমাদের পরিপূর্ণ সততাকে অবশ্যই আশীর্বাদ করে থাকেন । আপনি কি জেনে - শুনে কাউকে কাউকে মিথ্যা ধারণা দিয়ে থাকেন ? আপনি কি বাইবেলের শিক্ষা সম্পর্কে সৎ ?
খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়া “ তোমরা জান, জীবন পথে চলবার জন্য তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া বাজে আদর্শ থেকে সোনা বা রূপার মতো ক্ষয় হয়ে যাওয়া কোন জিনিস দিয়ে তোমাদের মুক্ত করা হয়নি; তোমাদের মুক্ত করা হয়েছে নির্দোষ ও নিখুঁত মেষ-শিশু যীশু খ্রীষ্টের অমূল্য রক্ত দিয়ে” ( ১ পিতর ১:১৮-১৯ পদ )। মানুষের পাপের জন্য খ্রীষ্টের মৃত্যুবরণ ও রক্তপাতের কারণেই আমাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে ( ইব্রীয় ৯:২২ পদ )। ক্ষমাহীনতা মানে বন্দীত্ব শর্তহীন ক্ষমা ঈশ্বরের কাছে আসা
ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা । মানুষ সৃষ্টি হচ্ছে তাঁর সবচেয়ে সেরা সৃষ্টি । তিনি আদম ও তার স্ত্রী হবাকে এদন বাগান নামে একটি স্বর্গতুল্য স্থানে রাখলেন। তারা সেখানে নিরাপদ, সুখী ও মুক্ত ছিল । অতঃপর শয়তান সাপের আকার ধারণ করে তাদের কাছে হাজির হল, তাদের ঠকাল এবং তারা পাপে পতিত হলে । ঈশ্বরের অবাধ্য হবার কারণে, তারা ঈশ্বরের সহভাগিতার বাইরে চলে আসল এবং এদন বাগান থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হল । ( আদিপুস্তক ৩ অধ্যায় )
সবাই পাপ করেছে আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন । আপনার জন্য আশা যীশু আপনাকে শান্তি দেবেন আপনি এখনই যীশুর দান গ্রহণ করতে পারেন ছোট ছেলেটি তার শিক্ষককে বিশ্বাস করেছিল , টেবিল পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিল এবং তা - ই ঘড়িটি পেয়েছিল । একইভাবে আপনিও দান গ্রহণ করতে পারেন, যা যীশু আপনাকে দিতে চান । আপনি খ্রীষ্টের সাথে আনন্দে থাকতে পারেন আপনি যীশুর জন্য কাজ করতে পারেন
দেশের কোন নেতার সাথে অথবা কোন বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে আপনি কি পছন্দ করেন ? আবার, তাদের কাউকে আপনার বাসায় পেতে কেমন লাগবে ? আমরা অনেকেই এমন সুযোগ পাই না । কিন্তু আপনি কি জানেন, এদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একজনের সাথে আপনি কথা বলতে পারেন ? আবার, এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আপনি আপনার বাসায়ও পেতে পারেন ! আপনি হয়তো প্রার্থনা করতে চেষ্টা করেছেন - তখন আপনার কেমন মনে হয়েছে ? প্রার্থনার পরেও কি আপনার অনেক প্রশ্ন ছিল ? এই রকম করে ভাবাটা স্বাভাবিক, কারণ যীশুর শিষ্যরাও যীশুকে বলেছিলেন যেন তিনি তাদের প্রার্থনা করতে শিখান ।
মরিয়ম এবং স্বর্গদূত যীশুর জন্ম মেষপালকগণ পণ্ডিতগণ ঈশ্বরের উপহার দেওয়ার কারণ যীশু ঈশ্বরের একজাত পুত্র ছিলেন। তিনি নিস্পাপ জীবন জাপন করেছেন এবং তাঁর সকল পন্থায় তিনি ছিলেন নিখুত। ত্রিশ বছর বয়সে, যীশুর পিতা, ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনি দৃষ্টিহীনকে পুনরায় দৃষ্টি দান, নানা প্রকার রোগ থেকে লোকদের সুস্থতা দান এবং এমনকি মৃত ব্যক্তিকে পুনর্জীবন দান করার মত বত্থ অলৌকিক কাজ করেছেন। সর্বোপরি, তিনি স্বর্গে অনন্ত জীবন কাটানোর উপায় সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি সমগ্র জগতের পাপমোচনের জন্য এক বলিদান স্বরূপ নিজের জীবনকে বলি দিয়েছেন।
উদ্ধার পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে ? এখন আমি কিভাবে মনের শান্তি অর্জন করতে পারি এবং আগামীতে স্বর্গে যাবার নিশ্চয়তা পেতে পারি ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে হলে ঈশ্বরের কাছে আমাদের আসতে হবে । এখন , ঈশ্বর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে এবং কেমন করে উদ্ধার পাওয়া যায়, তা এখানে বলছি । ঈশ্বর হচ্ছেন মহা বিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা - তিনি একজন স্নেহশীল পিতা, যিনি তাঁর সন্তানদের ভালবাসেন এবং তাদের কাছ থেকে ভক্তি ও বাধ্যতা আশা করেন । তারা অবাধ্য হলে তিনি শাসন করেন, আবার অনুতাপ করে ফিরে আসলে তিনি ক্ষমাও করে দেন । ঈশ্বর হচ্ছেন মানুষ হচ্ছে উদ্ধার পাবার উপায়
পবিত্র বাইবেলে আমরা পড়ি, “ তারপর আমি দেখলাম, ছোট - বড় সব মৃত লোকেরা সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । এর পর কতগুলো বই খোলা হল । তার পরে আর একটা বই খোলা হল । ওটা ছিল জীবন - বই । এই মৃত লোকদের কাজ সম্বন্ধে সেই বইগুলোতে যেমন লেখা হয়েছিল সেই অনুসারেই তাদের বিচার হল” ( প্রকাশিত বাক্য ২০ : ১২ পদ ) । এই অংশটি প্রমাণ করে যে ঈশ্বর সব কিছু তথ্য - প্রমাণ লিখে রাখেন । *** একটি কামরা …………………………………………….. একটি কামরা - স্বত্ব ১৯৯৫ নতুন মনোভাব / যোশূয়া হ্যারিস
একটি পরিবার কেমন হবে তার ছবি বাইবেলে নিখুঁত করে আঁকা হয়েছে, যার কাঠামো বেশ শক্ত এবং পরিবেশ মনোরম । একটা পরিবার মানে হচ্ছে, তৃপ্তিকর ঐক্যে ভরা অথবা উত্তেজনা ও বিবাদ পূর্ণ একটি স্থান । আপনার সংসার কি সুখী, মজবুত এবং জীবনের ঝড়- তুফানের মধ্যে বেঁচে থাকতে সমর্থ? পরিবার হচ্ছে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংগ । আমাদের আত্মিক উন্নয়নের জন্য, আবেগপূর্ণ সুখ এবং দৈহিক পরিপূর্ণতার জন্য তা ঈশ্বর কর্তৃক অভিষিক্ত । ঈশ্বরের পরিকল্পনা সব সময় একটি পরিবারে রয়েছে বলে পরিবারের সদস্য - সদস্যা সকলে একে অন্যের জন্য সুখ বয়ে আনে এবং সবাই মিলে ঐক্যে বসবাস করে । কেন অনেক পরিবার অসুখী
“ তোমরা একজন লোককে এসে দেখ । আমি জীবনে যা করেছি সবই তিনি আমাকে বলে দিয়েছেন । তাহলে উনিই কি সেই মশীহ ?” ( যোহন ৪:২৯ পদ ) । প্রিয় পাঠক - পাঠিকা বন্ধু, এই যীশুর সাথে কি আপনার পরিচয় হয়েছে ? যদি তাঁর সাথে পরিচয় হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তাঁকে প্রেমিক ও দয়ালু হিসাবে দেখতে পাবেন । আর যদি আপনার সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে তাঁকে মুক্তিদাতা ও উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহণ করেন তাহলে তিনি আপনার পাপের ক্ষমা দিতে প্রস্তুত আছেন । আপনি কি তাঁর কথা অন্যদের কাছে বলবেন যেন তারাও তাঁকে “ এসে দেখে” এবং তাঁকে বিশ্বাস করে ?
সকল প্রকার গল্প বা ঘটনার মধ্যে খ্রীষ্টের জন্মের ঘটনাটি খ্রীষ্টিয়ানদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি রয়েছে । সকল যুগের সেরা সবচেয়ে মহৎ আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে এটা, যার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা । পাপ করে মানুষ ঈশ্বরের সহভাগিতা থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলেছে । আদম ও হবা এদোন বাগানে ঈশ্বরের অবাধ্য হয়ে পাপ করার পর ঈশ্বর নিজেই একজন মুক্তিদাতা দেবার প্রতিজ্ঞা তাদের কাছে করেছিলেন ( আদি পুস্তক ৩ : ১৫ পদ ) । তারা যে সম্পর্ক হারিয়েছিল, তা আবার ফিরিয়ে আনতে এটাই ছিল ঈশ্বরের পরিকল্পনা ।
দি চার্চ অফ গড বা ঈশ্বরের মন্ডলী কোন মানুষের সৃষ্ট সংস্থা নয়, কিন্তু প্রভুরই সৃষ্ট । যীশু বলেছেন, “ আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার মন্ডলী গড়ে তুলব” ( মথি ১৬ : ১৮ পদ ) । যীশু জানতেন যে ঈশ্বরের মহান পরিকল্পনায় মন্ডলী অতি আবশ্যকীয় এবং এই ঘোষণাও দিয়েছিলেন যে মন্ডলী অনন্তকাল ধরে থাকবে । চার্চ বা মন্ডলী হচ্ছে, বিশ্বাসীদের জন্য আত্মিক বাসগৃহ , যখন তারা এই পৃথিবীতে থাকে; আর স্বর্গ হচ্ছে অনন্ত কালের জন্য উদ্ধার প্রাপ্তদের বাসগৃহ । চার্চ বা মন্ডলী কি ? কিভাবে আমি ঈশ্বরের মন্ডলী চিনতে পারি ? চার্চ বা মন্ডলী কেন প্রয়োজন ? মন্ডলীর আশীর্বাদ
আমার কাছে তোমার জন্য সুখবর রয়েছে! এমন একজন আছেন যিনি তোমাকে সাহায্য করতে পারেন। তিনি তোমার পাপ ক্ষমা করতে পারেন এবং তোমাকে স্থায়ী সুখ দিতে পারেন। তাঁর নাম যীশু। তাঁর কথা তোমাকে বলতে চাই। তাঁর পিতা, ঈশ্বর, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সবকিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাকে এবং আমাকেও সৃষ্টি করেছেন। যীশু চেয়েছেন যেন তোমার ও আমার জন্য তাঁর পিতার যে মহা প্রেম তা আমরা বুঝতে পারি। তাঁর পিতার প্রেম বর্ণনা করতে তিনি এই গল্পটি বলেছেন। একজন লোক একটা শহরে তার দুই ছেলেকে নিয়ে সুখে বাস করছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে।
একদিন যীশু তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে জাচ্ছিলেন। তিনি শমরিয়ার একটি গ্রামে উপস্থিত হলেন। যখন তাঁর বন্ধুরা খাবার কিনতে গেলেন তিনি বিশ্রামের জন্য একটি কূয়ার পাশে বসলেন। যীশু যখন সেখানে বসেছিলেন, একজন মহিলা কূয়া থেকে জল নেবার জন্য এলো। যীশু তাকে বললেন, “আমাকে পান করার জন্য জল দেবে?” মহিলাটি আশ্চর্য্য হ’ল। “আপনি আমার কাছে জল চাচ্ছেন? আপনি কি জানেন না যে আমি একজন শমরীয় আর শমরীয়দের সঙ্গে জিহুদীদের কোন আচার ব্যবহার নেই?” যীশু নম্রভাবে উত্তর দিলেন, “তুমি যদি ঈশ্বরকে এবং তুমি যাঁর সঙ্গে কথা বলছো তাঁকে সত্যই জানতে তবে তুমি আমার কাছেই জীবন্ত জল চাইতে। আমি সানন্দে তা দিতাম।“
John N. Reynolds আমার জানা মতে সবচেয়ে বেশি কৌতুহল সৃষ্টি করেছিল আমি যখন জর্জ লেনকসের পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনাটা জানলাম । জর্জ লেনকস জেফারসন জেলার একজন কুখ্যাত ঘোড়া চোর ছিল । সে দ্বিতীয় বারের মত জেল খাটছিল । একই অপরাধে, অর্থাৎ ঘোড়া চুরির জন্য এর আগে আমেরিকার কানসাস প্রদেশের সেজিক জেলা তাকে প্রথম বার জেলে দেয় । তার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে তখনই যখন সে মৃত্যুবরণ করেছিল । তার মুখ থেকে শুনে আমি শর্টহ্যান্ড রিপোর্টারের মত তার জীবন - কথা শর্টহ্যান্ডে লিখলাম । লাসার ও একজন ধনী লোক ( লূক ১৬ : ১৯ - ৩১ পদ ) Dislaimer
পান - সিগারেট ব্যবহার করা কি ভুল ? বাইবেল কি বলে , এটা পাপ ? যারা পান - তামাক জাতীয় বিভিন্ন নেশাতে অভ্যস্ত , তাদের কাছে কিছু বললেই এ ধরনের নানা প্রশ্ন তারা করে থাকে । না , বাইবেল নির্দিষ্টভাবে পান - তামাক জাতীয় নেশা সম্পর্কে কিছু বলে নাই । কিন্তু এমন কিছু নির্দেশ দিয়েছে যাতে মানব জাতির , পুরুষ ও স্ত্রী লোকের জীবন সেই নীতিমালায় পরিচালিত হয় ।
ভয় কি ঈশ্বর ভয় ভবিষ্যতের ভয় ব্যর্থতার ভয় কষ্ট পাবার ভয় মৃত্যুর ভয় ভয় থেকে মুক্তি ভয় হচ্ছে এমন এক গোপন শত্রু, যা সব বয়স ও জীবিকার মানুষের মধ্যে হানা দেয় । এই ভয় খুব সূক্ষ্ম এবং ধ্বংসাত্মক, চিন্তাকে বিষময় করে, অন্তরের শান্তিকে কেড়ে নেয় এবং আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয় । ভয় আমাদেরকে বিচলিত, অস্থির, আতঙ্কিত, বিশৃঙ্খল, নিরাশ এবং মনকে দুর্বল করে তোলে । সত্যই খুব দুঃখজনক ও অপছন্দনীয় এই অনুভূতি ! ভয় কি? ঈশ্বর ভয় ভবিষ্যতের ভয় ব্যর্থতার ভয় কষ্ট পাবার ভয় মৃত্যুর ভয়
আপনি কার উপাসনা করেন ? আপনার ঈশ্বর কোথায় থাকেন ? তিনি কি জীবন্ত ? আজকে তিনি আপনার জন্য কি করছেন ? আপনি কি আজ তার সাথে কথা বলেছেন ? তিনি কি আপনার হৃদয়ের আর্তনাদ শুনে তার উত্তর দেন ? আসলে আপনার বিশ্বাস কি ? আসুন, একমাত্র সত্য ঈশ্বরের সাথে আপনার পরিচয় করিয়ে দেই, যিনি আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু শয়তানের উপরে বিজয় লাভ করেছেন । তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর, যাঁর কথায় সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে । পবিত্র বাইবেল স্বর্গের এই ঈশ্বরের কথা বলে , যিনি মানুষকে পৃথিবীর ধুলা - মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন । আদিপুস্তক প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় পড়ুন ।
মদ মাদক দ্রব্য লালসা অপরাধ জেলখানা হতাশা মৃত্যু “ পাপ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু “ ( রোমীয় ৬ : ২৩ পদ ) আসুন আমরা বাস্তবের সামনে দাঁড়াই । মদ, মাদকদ্রব্য এবং অনৈতিকতার মত ভয়ংকর রাক্ষস গুলো ঈশ্বরের মহৎ এবং সুন্দর সৃষ্টির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়েছে এবং সৃষ্টিকে ধ্বংস করেছে । ঠিক যেমন বিরাটাকার অজগর ; যা ছোট বড় সকলকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয় এবং গিলে ফেলে ।
সত্ব বন্ধন স্বাধীনতা বিষন্নতা আনন্দ ভয় শান্তি ঘৃণা ভালবাসা অপবিত্রতা পবিত্রতা আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যাদের হৃদয়ে রয়েছে অস্থিরতা । কেন তাদের হৃদয়ে এত অস্থিরতা, অবশ্য তার অনেক কারণও রয়েছে । তবে যে কারণেই হোক না কেন, আমরা এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এ সবই ঈশ্বর জানেন এবং যারা বিশ্বাসে তাঁর কাছে আসবে, তিনি তাদের প্রত্যেকটি অস্থির হৃদয়ে শান্তি দিতে অপেক্ষা করে আছেন । ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং তিনি আপনার হৃদয়ে বাস করতে চান । সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর সর্বপ্রথম যখন মানুষ সৃষ্টি করেন, তখন তিনি চেয়েছিলেন যেন মানুষ সুন্দর এদন বাগানে সুখে বসবাস করে এবং তাঁর সেবা করে ।
এই পৃথিবী একটা অস্থির জায়গা। আমরা দেখি, মানুষ ইতস্তত ছুটাছুটি করে চলেছে তাদের জীবনকে খুশী করার জন্য ধন-সম্পদ আয় করতেও অনেকে নিজেদের একান্তভাবে ব্যস্ত রাখে। অন্য অনেকে জগতের সব রকম ভোগ-বিলাসে নিজেদের সময় কাটায়। আবার কেউ কেউ অলস অবসর কাটাতে পছন্দ করে এবং কম খাটুনি করে বেশী অর্থ উপার্জন করতে চেষ্টা করে ও খেলাধুলায় বেশী সময় ব্যয় করে। তবুও তাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। খেলার সরঞ্জাম, আনন্দ-স্ফূর্তি ও সম্পত্তির প্রতি তাদের আকর্ষণ অবশেষে শেষ হয়ে যায়।কারন প্রতিটা নতুন ভোগ-বিলাস ও তার চাহিদা কিছুদিন থাকে, কিন্তু আবার হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। তবু মনে হয় জীবনে আরো কিছু দরকার। জীবন কি?
এই মুহূর্তে আপনি বেঁচে আছেন; আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন; প্রতিদিনই কিছু খাবার খাচ্ছেন ও জল পান করছেন। আমরা চলাফেরা করি অথবা কাজ করি এবং ঘুমাই। হয়তো আমরা আরামে জীবন কাটাই অথবা কষ্টে থাকি। সূর্য উঠে আবার অস্ত যায়; কোথাও একটি শিশু জন্ম নিচ্ছে, কিন্তু আবার কোথাও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। পুরো জীবনটাই একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা কিন্তু মৃত্যুর পর আমি কোথায় যাই? যদিও আমি একজন নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান: অথবা একজন মুসলমান , অথবা একজন হিন্দু , অথবা একজন বৌদ্ধ, অথবা একজন ইহুদী, অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ অথবা কোন ধর্মে বিশ্বাস করি না —— কিন্তু কোথায়? আপনার আত্মা কখনও মরবে না
আমার একজন বন্ধু আছেন। আমার সব বন্ধুদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সেরা বন্ধু। তিনি এত দয়ালু এবং বিশ্বাস্ত যে আমি চাই যেন তুমিও তাঁকে জানতে পার। আরও চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, তিনিও তোমার বন্ধু হতে চান। এখন আমি তাঁর কথা তোমাকে বলছি। এই ঘটনাটি আমরা বাইবেলে দেখতে পাই। বাইবেল হচ্ছে খুবই খাঁটি। এটা ঈশ্বরের বাক্য। ঈশ্বর হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই জগৎ এবং তাঁর মধ্যেকার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি হচ্ছেন স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু বাঁ মালিক। তিনিই সবকিছুর জীবন দেন এবং জীবন-বায়ু দেন। কোন একদিন তিনি আবার আসছেন! তাঁর উপরে যারা বিশ্বাস করেছে তাদের সকলকে তিনি স্বর্গের বাসস্থানে নিয়ে যাবেন।
“পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন । কিন্তু শিষ্যেরা সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন । যীশু তা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে শিষ্যদের বললেন, ছেলে মেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এদের মত লোকদেরই । আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলে মেয়েদের মত করে ঈশ্বরের শাসন মেনে না নিলে কেউ কোন মতেই ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকতে পারবে না । তারপর যীশু সেই ছেলেমেয়েদের কোলে নিলেন এবং তাদের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন” ( মার্ক ১০ : ১৩ - ১৬ পদ ) । যীশু করেন প্রেম আমায়
সবাই পাপ করেছে আজকের পৃথিবীতে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমি স্বর্গে যাবার মত এত ভাল না আবার নরকে যাবার মত এত খারাপও না ।’ তারা মনে করে তারা বেশ ভাল আছে এবং ঈশ্বর যে কোন ভাবে তাদেরকে স্বর্গে স্থান দেবেন । আপনার জন্য আশা যীশু আপনাকে শান্তি দেবেন আপনি এখনই যীশুর দান গ্রহণ করতে পারেন ছোট ছেলেটি তার শিক্ষককে বিশ্বাস করেছিল , টেবিল পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিল এবং তা - ই ঘড়িটি পেয়েছিল । একইভাবে আপনিও দান গ্রহণ করতে পারেন, যা যীশু আপনাকে দিতে চান । আপনি খ্রীষ্টের সাথে আনন্দে থাকতে পারেন আপনি যীশুর জন্য কাজ করতে পারেন
যোহন সুসমাচার ১০ : ১ - ১৮ আপনি কি কখনও এরকম ডাক শুনেছেন, কেউ আপনার নাম ধরে ডাকছে অথচ আপনি জানেন না কোত্থেকে এই ডাক আসছে ? অথবা, হয়তো চারিদিকের হৈ চৈ হট্টগোলের মধ্যে আপনি এই ডাক ভালভাবে শুনতে পারছেন না । শুনুন, একটা ডাক শোনা যাচ্ছে । শুনছেন, আপনাকেই ডাকছে ! আপনি কে ? আপনার নাম কি? আপনি কোত্থেকে এসেছেন ? আপনি কোথায় থাকেন ? আপনি কোথায় যাচ্ছেন ? পবিত্র বাইবেল সেই সময় থেকে অনেক সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ করেছে, অনেক মানুষ মারা গেছে । এরকম করে হাজার হাজার জন্ম নিয়েছে এবং হাজার হাজার মারা গেছে । ঈশ্বর যীশু, রাখালের কণ্ঠস্বর
এক সময় এই জগতে কিছুই ছিল না । না ছিল মাছ ! না ছিল আকাশে তারা ! না ছিল সাগর ও সুন্দর ফুল ! সব কিছু শূন্য ও অন্ধকার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর ছিলেন । ঈশ্বরের ছিল এক চমৎকার পরিকল্পনা । তিনি একটি মনোরম জগতের চিন্তা করেছিলেন, আর চিন্তার সাথে সাথেই তিনি করেছিলেন তার সৃষ্টি । যখন কিছুই ছিল না, তখন তিনি সবকিছুই সৃষ্টি করলেন । ঈশ্বর কোন কিছু সৃষ্টির আগে শুধু বললেন, ‘ এটা হোক’ এবং তা - ই হল । ঈশ্বর তাদের ভীষণ ভালবাসতেন । যে বাগানে তারা থাকত, তিনি প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে তাদের দেখতে যেতেন ।
সরল হলেও ভুল হয় জনপ্রিয় একটা ধারণা : ‘আপনি কি বিশ্বাস করেন বা না করেন, তাতে কিছু যায় আসে না, যদি আপনি সরল বা আন্তরিক হন ।’ যাই হোক, বিশ্বাসে অবশ্যই আপনাকে সরল বা আন্তরিক হতে হবে , যেন সঠিক কাজটি করতে পারেন । সরল বা আন্তরিক একজন লোকের সব কাজেই আমাদের গভীর শ্রদ্ধাবোধ থাকে । এমন লোক তার দৃঢ় বিশ্বাসের জন্য জীবন দিতেও ইতস্তত করে না । কিন্তু সরল বা আন্তরিক হওয়াই যথেষ্ট নয় ।
পবিত্র বাইবেল হচ্ছে এমন এক দামী বই যা প্রতিটি প্রাণের প্রয়োজন মেটায় । মানুষের দেহের পুষ্টির জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি বাইবেলের বাণীগুলি মানুষের আত্মার পুষ্টির যোগান দেয় । সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটি জানার জন্য ও সঠিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাইবেলেই যথার্থ কথা লেখা হয়েছে যা আসলে খাঁটি সোনার মতন । পবিত্র বাইবেলে যা আছে ঈশ্বরের কথা যীশুর জন্ম কাহিনী ……………………………. লূক ২অধ্যায় সকল সৃষ্টির বিবরণ ……………… আদি পুস্তক ১ অধ্যায় উদ্ধার গীত ………………………… গীত সংহিতা ১৮ অধ্যায় ঈশ্বরের মহত্ব ……………………..……. যিশাইয় ৪০ অধ্যায় ঈশ্বরের পবিত্রতা ……………….. গীত সংহিতা ৯৯ অধ্যায় কে ভাল রাখাল ………………………….. যোহন ১০ অধ্যায়